পরবর্তী খবর
বাংলা নিউজ > ভাগ্যলিপি - Ajker Rashifal > Kaushiki Amavasya 2025: কৌশিকী অমাবস্যায় করুন এই বিশেষ ৫ কাজ, শুভ কাজে আর বাধা পড়বে না কখনও
কৌশিকী অমাবস্যা 'তারা রাত্রি' নামেও পরিচিত। এই অমাবস্যা ভক্তদের কাছে বিশেষ মাহাত্ম্যের, কারণ তন্ত্র সাধনা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি তিথি। এই দিনে কিছু বিশেষ কাজ করলে জীবনের বাধা দূর হয় এবং শুভ ফল লাভ করা যায়।
কৌশিকী অমাবস্যার দিনে যা যা করবেন
- দুর্গামন্ত্র জপ: কৌশিকী অমাবস্যার দিন দেবী দুর্গার মন্ত্র জপ করা খুবই শুভ। এই দিন দেবী পার্বতীর কোশ থেকে দেবী কৌশিকী আবির্ভূত হন, তাই তাঁর মন্ত্র পাঠ করলে জীবনের সকল বাধা দূর হয়। এই মন্ত্রটি হল - "সর্বমঙ্গলা মঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থ সাধিকে, শরণ্যে ত্রাম্বকে গৌরী নারায়ণী নমোস্তুতে"।
আরও পড়ুন - বাদামি চোখের মানুষরা বন্ধু হিসেবে কেমন? আড়াল থেকে ক্ষতি করার চেষ্টা করে?
- দক্ষিণমুখী হয়ে প্রদীপ জ্বালান: এই দিনে সন্ধেবেলা বাড়ির প্রধান দরজার ডান পাশে একটি সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালান। প্রদীপটি যেন দক্ষিণ দিকে মুখ করে থাকে। এই প্রদীপ জ্বালালে বাড়ির সকল অশুভ শক্তি দূর হয় এবং ইতিবাচক শক্তির আগমন ঘটে।
- গর্তের মধ্যে এক চামচ দুধ: কৌশিকী অমাবস্যায় এই বিশেষ প্রতিকারটি করার নিদান দিয়ে থাকেন শাস্ত্রজ্ঞরা। এই দিন এক চামচ দুধ সন্ধেবেলায় একটি গর্ত বা একটি কুয়োর মধ্যে ঢাললে জীবন থেকে সব নেতিবাচকতা দূর হয়ে যায়।
আরও পড়ুন - চিনা মতে সাপের বছরে দূর করুন সব অশুভ শক্তি, ৫ ফেং শুই টিপসেই শত্রু হবে জব্দ
- নারকেল চিনির প্রতিকার: একটি নারকেল থেকে সব জল ফেলে দিয়ে এক দিকে ফুটো করে তার মধ্যে চিনি পুরে দিন। এ বার ওই নারকেলটিকে বাড়ি থেকে বেশ খানিকটা দূরে কোথাও পুঁতে দিতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে, যেন ছিদ্রটি উপরের দিকে থাকে। এতে আপনাকে বেষ্টন করে থাকা অশুভ শক্তির বিনাশ হয় দ্রুত।
- ছেঁড়া পোশাক ফেলে দিন: কৌশিকী অমাবস্যার দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হল বাড়ি থেকে সব ছেঁড়া জামাকাপড় ফেলে দেওয়া। এই দিন বাড়়িতে কোনও ছেঁড়া পোশাক থাকলে তা সংসারে অমঙ্গল ডেকে আনতে পারে। তাই তিথি শুরুর আগেই এই কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।