আরতি হিন্দু ধর্মে ঈশ্বরের উপাসনার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূূর্ণ দিক। ঈশ্বরকে আহ্বানের পর তাঁকে আরতি করে স্বাগত জানানো হয় জীবনে। জন্মাষ্টমীতে বিপদহন্তারক শ্রীকৃষ্ণকেও আমরা এই ভাবেই স্বাগত জানিয়ে থাকি। এই সময় পুরোহিত প্রদীপ, ধূপ, কর্পূর, ফুল দিয়ে ভক্তি সহকারে তার দেবতার পূজা করেন। তবে আরতির সময় কেউ কেউ চোখ বন্ধ করে অন্তরের ভক্তিতে ডুবে থাকেন। আবার কোনও কোনও ভক্ত খোলা চোখে ঈশ্বরের মূর্তির দিকে তাকিয়ে থাকেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে, আরতি করার সময় কোন কাজটি করা শুভ?
আরও পড়ুন - খারাপ নজরের জন্য ভেস্তে যাচ্ছে শুভ কাজও? ঘরের এই কোণে স্থাপন করুন স্বস্তিক চিহ্ন
কী বলছে শাস্ত্র?
হিন্দু ধর্মগ্রন্থে বলা হয়েছে, ‘প্রত্যক্ষ কিম্ প্রমাণম্’। যার অর্থ সরাসরি দর্শনও প্রমাণ। স্কন্দ পুরাণ এবং পদ্ম পুরাণে উল্লেখ আছে, আরতির সময় ঈশ্বরের মূর্তি দর্শন করলে বহুগুণ বেশি পুণ্য লাভ হয়। এই সময়ে মূর্তি দর্শন কেবল চোখের একটি কাজ নয়, বরং আত্মার সঙ্গে সংযোগের একটি মুহূর্তও। অতএব, চোখ বন্ধ করে থাকলে সেই ঐশ্বরিক অভিজ্ঞতার সুবিধা অসম্পূর্ণ থেকে যেতে পারে।
আরও পড়ুন - জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ঘরে ময়ূরের পালক? কী কী গুণ রয়েছে এই পালকের? কী বলছে জ্যোতিষ
দর্শনত্যাগ হয় এতে?
কিছু ভক্ত আরতির সময় আবেগে চোখ বন্ধ করে ফেলেন। এটি তাদের অন্তরের ভিতরে যাত্রার একটি প্রকাশ। তারা বাহ্যিক প্রতিচ্ছবির চেয়ে মনের ভিতর দেবতাকে অনুভব করতে চান। এটি উচ্চ স্তরের ভক্তির লক্ষণ হতে পারে, কিন্তু আরতির মতো চাক্ষুষ আচারে দর্শন ত্যাগ করা কখনও কখনও আধ্যাত্মিক সংযোগকে সীমিত করে। তাই শাস্ত্রমতে, আরতির সময় ঈশ্বরকে প্রাণভরে দেখা শুভ।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।