শত্রুর খারাপ নজরের কারণে বহু শুভ কাজে ব্যাঘাত আসে। স্বাস্থ্যের সমস্যা থেকে আর্থিক লোকসানের মতো নানা ঘটনা ঘটতে পারে খারাপ নজরের জন্য। এছাড়াও, জীবনে উন্নতি অধরা থেকে যায় উন্নতির পথও। তাই নিজেকে ও পরিবারকে খারাপ নজরের থেকে সুরক্ষিত রাখতে কিছু কিছু বাস্তু প্রতিকারের সাহায্য নিতে পারেন। এই ধরনের বাস্তু প্রতিকারগুলি আমাদের জীবনে খারাপ নজরের প্রভাব পড়তে দেয় না। পাশাপাশি পরিবারের সকলকেও সুরক্ষিত রাখে।
খারাপ নজর থেকে সুরক্ষিত থাকার বাস্তু প্রতিকার
- প্রধান প্রবেশপথে ইতিবাচকতা বৃদ্ধি করুন - ঘরের প্রবেশপথ হল শক্তির সবচেয়ে বড় উৎস। এটি পরিষ্কার এবং নিরাপদ রাখুন। দরজায় স্বস্তিক বা 'ওম' চিহ্ন লাগান। যদি আপনি ধর্মীয় প্রতীক পছন্দ না করেন, তাহলে একটি পাত্রে ফিটকিরি রাখুন এবং প্রতি সপ্তাহে এটি পরিবর্তন করুন। এটি অশুভ দৃষ্টি শোষণ করে।
আরও পড়ুন - এই ৫ দিন বাড়িতে ভুলেও বানাবেন না রুটি, দুর্ভাগ্যের কালো ছায়ায় জীবন হবে তছনছ
- দক্ষিণ-পূর্ব দিকটি সক্রিয় করুন - দক্ষিণ-পূর্ব দিককে অগ্নিকোণ বলা হয়, যা মা দুর্গার সঙ্গে সম্পর্কিত। এখানে, একটি পিতলের প্রদীপে অখণ্ডজ্যোত জ্বালান এবং এটি চন্দন কাঠের স্ট্যান্ডের উপর রাখুন। আপনি যদি চান, আপনি এখানে একটি তামার স্বস্তিকও স্থাপন করতে পারেন।
- উত্তর-পূর্ব দিক পরিষ্কার রাখুন - ঈশান কোণ বা উত্তর-পূর্ব দিক হল বাড়ির সবচেয়ে শুভ দিক, যেখান থেকে ইতিবাচক শক্তি ছড়িয়ে পড়ে। এটি সর্বদা পরিষ্কার এবং খালি রাখুন। এখানে ভারী জিনিসপত্র বা আসবাবপত্র রাখবেন না।
আরও পড়ুন - তেল না ঘি, সন্ধ্যায় কীসের প্রদীপ জ্বালানো উচিত? কী বলছে বাস্তুশাস্ত্র দেখে নিন
- নেতিবাচক শক্তি দূর করতে ধূপ জ্বালান - দক্ষিণ-পূর্ব দিকে চন্দন কাঠ, কর্পূর পোড়ান। দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে লোবান বা দেবদারু কাঠ পোড়ান স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা নিয়ে আসে।
- তুলসী গাছ লাগান - তুলসী ধর্মীয়ভাবে পবিত্র এবং ঔষধি গুণে পরিপূর্ণ। এটি উত্তর, পূর্ব বা উত্তর-পূর্ব দিকে দরজা/জানালার কাছে রাখুন। এটি কেবল মঙ্গল বয়ে আনে না, জীবাণু থেকেও রক্ষা করে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।