এ সময়ে বাড়িতে পুজোর আয়োজন করবেন না। যদি কোনও পুজো করতেই হয়, তাহলে মন্ত্রোচ্চারণ ছাড়া তা করুন। ধূপ জ্বালাতে পারেন। প্রদীপও জ্বালাতে পারেন। তবে শাঁখ বাজাবেন না।মা ধরিত্রী এই সময়ে ঋতুমতী হন মনে করা হয়। তাই এই সময়ে মাটি খোঁড়া উচিত নয়। নতুন গাছ বসানো বা বীজবপনও উচিত নয়। চাষের কাজও বন্ধ রাখতে হয়। সবচেয়ে বড় কথা, এই সময়ে হাল ধরতে নেই।এই সময়ে মন্দিরের দরজা বন্ধ রাখার নিয়ম রয়েছে। তা সম্ভব না হলে, দেবীপূজার সময়ে মূর্তি কাপড়ে ঢেকে রাখার নিয়ম রয়েছে। বাড়িতে যাঁরা মাতৃমূর্তির পুজো করেন, তাঁরাও মূর্তি বা পট লাল কাপড়ে ঢেকে রাখবেন। এই নিয়মের ব্যতয় হওয়া উচিত নয়।এই তিন দিন কোনও রকমের মাঙ্গলিক কাজ করবেন না। গৃহপ্রবেশ, বিবাহ, অন্নপ্রাসনের মতো শুভ কাজ করা উচিত নয়।প্রাচীন হিন্দুশাস্ত্র মতে, অম্বুবাচীর তিন দিন ব্রহ্মচর্য অনুসরণ করা উচিত। এটি শুভ আচার বলে মনে করা হয়।যাঁরা মন্ত্রে দীক্ষিত বা শাক্তমতে দেবীপীজা করেন, তাঁরা অম্বুবাচীর দিনগুলিতে গুরুমন্ত্র জপ করতেই পারেন। জপে কোনও দোষ তো নেই-ই, বরং তা ভালো।এই সময়ে গঙ্গা বা অন্য কোনও নদীতে স্নান করাও উচিত নয়। তাতে বিধিনিষেধ রয়েছে।