বিমানের সুবিধা পাবেন বাসে। এক মিনিটে ফুল চার্জ হয়েই দুরন্ত গতিতে ছুটবে ভারতের নতুন ইলেকট্রিক বাস। স্কুডা এবং টাটার সঙ্গে হাত মিলিয়ে অভিনব উদ্যোগ পরিবহন মন্ত্রকের। এই ধরনের বাসে ফ্লাইটের মতো সুবিধা থাকলেও কিন্তু ভাড়া খুব একটা বেশি হবে না, যথেষ্ট কম হবে। উদয়পুর সফরে গিয়ে, এক অনুষ্ঠানে এমনটাই কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতীন গডকড়ি।
ইলেকট্রিক বাসটির বিশেষত্ব কী কী
ট্রামের মতো বাস, দৌড়োবে দুরন্ত গতিতে। রেললাইনের মত করে রাস্তার ওপর বৈদ্যুতিক তার বিছিয়ে দেওয়া হবে। এরপর তিনটি বাসকে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত করে এই বৈদ্যুতিক বাস চালানো হবে। বিমানের মতো বিশেষ সুবিধাও দেওয়া হবে যাত্রীদের। বিজনেস ক্লাসের মতো ক্যাটাগরি থাকবে এবং এর সঙ্গে চা-জল খাবারও পাওয়া যাবে। একসঙ্গে ১৩২ জন বসতে পারবেন বাসে। এই বাসের একটি ওয়্যারলেস চার্জিং সুবিধাও দেওয়া হবে, এক মিনিটেই হবে ফুল চার্জ। সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসগুলিতে প্যাকেটজাত খাবার, সিসিটিভি নজরদারি এবং প্রতিটি আসনে ল্যাপটপ রাখার মতো সুবিধা থাকবে।
ইলেকট্রিক হাইওয়ের কাজ হবে
রাজস্থানের ১৭টি সড়ক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৫০০ কোটি টাকা। এদিনের অনুষ্ঠানেই, গডকড়ি বলেছিলেন যে তিনি যখন চেকোস্লোভাকিয়ার প্রাগ শহরে গিয়েছিলেন, তখন রাস্তার উপরে একটি তার ছিল যার উপর ভিত্তি করে একটি বৈদ্যুতিক বাসও চলছিল। একই আদলে এবার দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ে থেকে জয়পুরের সঙ্গে যুক্ত করা হবে এমনই তার। ইলেকট্রিক হাইওয়ে হিসেবে ওই বৈদ্যুতিক বাসের রাস্তা নির্মাণ করা হবে। এর পর আপাতত জয়পুর থেকে দিল্লির মধ্যে এই ইলেকট্রিক বাস চলবে।
আরও পড়ুন: (New Rule for buying sim: নতুন সিম কিনবেন? TRAI-র এই নিয়মটি জানেন তো, চালু হল আজ থেকে)
এই বাসের ভাড়াও তুলনামূলকভাবে অনেক কম হবে
শুধু তাই নয়, এর ভাড়াও রাস্তায় চলাচলকারী ডিজেল বাসের তুলনায় ৩০ শতাংশ কম হবে। বিশেষ বিষয় হল এই ইলেকট্রিক শীঘ্রই জয়পুর থেকে যাত্রা শুরু করবে। শহরের রক্ষণাবেক্ষণ মেরামত সহ অন্যান্য সুবিধাগুলি তুলে ধরে, তিনি নাগপুরকে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কেন্দ্র হিসেবে কল্পনা করেছিলেন।
এদিন, মন্ত্রী জানিয়েছেন, এই অঞ্চলে বছরে ৭৬,০০০ টন জৈব-বিমান জ্বালানি উৎপাদন সম্ভব হবে। অনুষ্ঠান চলাকালীন, গডকড়ি আরও বলেছিলেন যে উদয়পুরেও অনেক হ্রদ রয়েছে। তিনি সিএম ভজনলাল শর্মাকে উদয়পুরে একটি নদীবন্দর তৈরি করার পরামর্শও দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে সিএম ভজনলাল শর্মা জানিয়েছেন যে উদয়পুর শক্তি এবং ভক্তির শহরও বটে। এই এলাকাটি পর্যটনের দৃষ্টিকোণ থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয়রা এই সড়কে রাজস্থানের কাশ্মীরও বলেন। এই এলাকায় অনেক কাজ করা হয়েছে, যা এখানে আরও পর্যটকদের আকর্ষণ করবে।