তিনশো টপকেও স্বস্তি নেই পাকিস্তানের। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে বড় রানের ইনিংস গড়েও হারতে বসেছিলেন বাবর আজমরা। শেষমেশ কোনও রকমে ডাচদের বিরুদ্ধে হারতে হারতে ম্যাচ জেতে তারা।
রটারডামে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩১৪ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। অনবদ্য শতরান করেন ওপেনার ফখর জামান। অধিনায়কোচিত হাফ-সেঞ্চুরি করেন বাবর আজম। শেষবেলায় ব্যাট হাতে ঝড় তুলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরানের দোরগোড়ায় পৌঁছে যান শাদব খান।
পালটা ব্যাট করতে নেমে নেদারল্যান্ডসও তিনশো রানের চৌকাঠে পৌঁছে যায়। শুরুর দিকে বিক্রমজিৎ সিং, বাস ডি'লিডরা যথেচ্ছ বল নষ্ট না করলে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়তে পারত নেদারল্যান্ডস। শেষমেশ লক্ষ্যের খুব কাছাকাছি গিয়ে থেমে যেতে হয় ডাচদের। তারা ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৯৮ রানে আটকে যায়। হাই-স্কেরিং ম্যাচে ১৬ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে পাকিস্তান। নেদারল্যান্ডসের হয়ে হাফ-সেঞ্চুরি করেন বিক্রমজিৎ, টম কুপার ও ক্যাপ্টেন স্কট এডওয়ার্ডস।
পাকিস্তানের হয়ে ওপেন করতে নেমে ১০৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন ফখর। ১০৯ বলের ইনিংসে তিনি ১২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। বাবর আজম করেন ৭৪ রান। ৮৫ বলের ইনিংসে তিনি ৬টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। শাদব মাত্র ২৮ বলে ৪৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। এছাড়া মহম্মদ রিজওয়ান ১৪, খুশদিল শাহ ২১ ও আঘা সলমন অপরাজিত ২৭ রান করেন।
নেদারল্যান্ডসের হয়ে ওপেন করতে নেমে বিক্রমজিৎ ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৯৮ বলে ৬৫ রানের ধীর ইনিংস খেলেন। টম কুপার ৫৪ বলে ৬৫ রান করেন। তিনি ৬টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। এডওয়ার্ডস ৭১ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৬০ বলের ইনিংসে তিনি ৬টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।