বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বপ্রথম এমন আউট করেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটার ভিনু মানকাড। আর তাঁর ফলেই এই ধরনের আউটকে মানকাডিং বলেই আখ্যায়িত করা হয়। অনেকেই আপত্তি জানিয়েছিলেন আউটের পদ্ধতির এমন নামকরণ নিয়ে। তবে স্বয়ং ভিনু মানকাড়ের নাতি চান না এই নামটা বদলে যাক।
ভিনু মানকড়ের নাতি দাবি
শুভব্রত মুখার্জি: ক্রিকেটে মানকাডিং পদ্ধতিতে আউট নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। বোলার বল করতে আসার সময় ডেলিভারি হওয়ার আগেই নন স্ট্রাইকার ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গেলে তাঁকে রান আউট করার পদ্ধতিকেই বলে মানকাডিং। বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বপ্রথম এমন আউট করেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটার ভিনু মানকাড। আর তাঁর ফলেই এই ধরনের আউটকে মানকাডিং বলেই আখ্যায়িত করা হয়। অনেকেই আপত্তি জানিয়েছিলেন আউটের পদ্ধতির এমন নামকরণ নিয়ে। তবে স্বয়ং ভিনু মানকাড়ের নাতি চান না এই নামটা বদলে যাক। তাঁর মতে এর মধ্যে দিয়েই চিরজীবন বেঁচে থাকবে ঠাকুর দাদুর স্মৃতি।
উল্লেখ্য বেশ কিছুদিন হল মেরিলবোর্ণ ক্রিকেট ক্লাবের তরফে এই ধরনের আউটের আইনি স্বীকৃতিও দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও অনেক বর্তমান এবং প্রাক্তন ক্রিকেটারদের দাবি এই ধরনের আউট ক্রিকেটের স্পিরিট বিরোধী। উল্লেখ্য ১৯৪৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিল ব্রাউনকে এমন পদ্ধতিতে আউট করেছিলেন ভিনু মানকাড়। সুনীল গাভাসকরের মতন কিংবদন্তি পর্যন্ত বলেছেন এই মানকাডিং নাম প্রত্যাহার করার বিষয়ে। ভিনু মানকাড়ের নাতি প্রাক্তন টেনিস খেলোয়াড় হর্ষ মানকাড়ের গলাতে অবশ্য ধরা পড়ল অন্য সুর।
হর্ষ মানকাড় জানান, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি বলব আমি যখন দেখি আমার দাদুকে নিয়ে কথা হচ্ছে তাতে আমি খুশি হই। কারণ এক আমি মনে করি এই নামটা ক্রিকেটার সঙ্গে যতদিন ক্রিকেটীয় টার্ম হিসেবে যুক্ত থাকবে ততদিন সেটা আমাদের কাছে গর্বের। এভাবেই সবাই দাদুর স্মৃতিকে মন রাখবে । সেটাই আশা রাখি। আমি খুব খুশি হব এই মানকাডিং কথাটি বেঁচে থাকলে। কারণ তাহলে এটাই আমার দাদুর স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখবে। দাদুকে সকলে লড়াকু ক্রীড়াবিদ হিসেবে ভালোবাসত, সম্মান করত।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।