ভারতে একদিনের বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল আয়ারল্যান্ডের। কোয়ালিফায়ার পর্বে টানা তিনটি ম্যাচে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে গেলেন জোশ লিটল, অ্যান্ডি বলবার্নিরা। রবিবার তাঁদের ১৩৩ রানে গুঁড়িয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। যে দল টানা তিনটি ম্যাচে জিতে কোয়ালিফায়ার পর্বের ‘সুপার সিক্স’-এ পৌঁছে গিয়েছে। অর্থাৎ জিইয়ে রেখেছে বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার আশা। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন দিমুথ করুণারত্নে। যিনি ১০৩ বলে ১০৩ রান করে শ্রীলঙ্কার জয়ের ভিত্তিপ্রস্তর তৈরি করে দেন। সেইসঙ্গে দুরন্ত খেলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। যিনি টানা তিনটি ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়ে একদিনের ক্রিকেটের ইতিহাসেন নজির গড়েছেন।
শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং
রবিবার বুলাওয়াতে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। কারণ শুরুটা বেশ ভালো করেন পাথুম নিশঙ্কা এবং করুণারত্নে। কিন্তু নবম ওভারে আচমকা খেই হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় বলে আউট হয়ে যান নিশঙ্কা (২০ রান)। পরের বলেই ড্রেসিংরুমের রাস্তা ধরেন কুশল মেন্ডিস। দু'উইকেট হারিয়ে সাদিরা সমরাবিক্রমের সঙ্গে শ্রীলঙ্কাকে টানতে থাকেন করুণারত্নে। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে দু'জনে ১৫৯ বলে ১৬৮ রান যোগ করেন।
কিন্তু শতরানের দোরগোড়ায় আউট হয়ে যান সাদিরা (৮৬ বলে ৮২ রান)। দু'ওভার পরে ড্রেসিংরুমে ফেরেন করুণারত্নেও (১০৩ বলে ১০৩ রান)। তারপর চরিথ আসালঙ্কা (৩০ বলে ৩৮ রান) এবং ধনঞ্জয়া ডি'সিলভা (৩৫ বল ৪২ অপরাজিত) ক্যামিও ইনিংস খেললেও ৪৯.৫ ওভারে অল-আউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। যা অত্যন্ত হতাশাজনক পারফরম্যান্স। কারণ যে দলের স্কোর ৩৫ ওভারের শেষে দুই উইকেটে ২১৬ রান থাকে, সেই দল নিদেনপক্ষে ৩৫০ রান তুলবে বলে আশা করা যায়।
তবে সেই কৃতিত্ব আইরিশ বোলারদেরও প্রাপ্য। যাঁরা শেষের দিকে ভালো বোলিং করেন। ৯.৫ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে চার উইকেটে নেন মার্ক এডের। তিনটি উইকেট পান ব্যারি ম্যাকার্থি। দুই উইকেট নেন গ্যারেথ ডেলানি। আয়ারল্যান্ডের সেরা বোলার লিটল অবশ্য বেশ রান খরচ করেন। মাত্র আট ওভারে ৭৮ রান দেন লিটন। যিনি আইপিএলে গুজরাট টাইটানসের হয়ে খেলেন।
আয়ারল্যান্ডের ব্যাটিং ইনিংস
বোলারদের সেই কামব্যাকের অবশ্য মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হন আইরিশ ব্যাটাররা। চতুর্থ ওভার থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেটে হারাতে থাকে আয়ারল্যান্ড। ৩.৪ ওভারে ২১ রানের মাথায় আউট হন পল স্টার্লিং। তারপর থেকে কোনও জুটিই গড়ে ওঠেনি। কোনও জুটি গড়ে ওঠার আগেই উইকেট পড়ে যেতে থাকে। যা আইরিশদের পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কারণ আইরিশদের ইনিংসে সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ হয়েছে ৩০ রানের - একটি পঞ্চম উইকেটে, অপরটি দশম উইকেটে। সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন কার্টিস ক্যাম্ফার।
অন্যদিকে, কিছুটা মার খেলেও শ্রীলঙ্কার হয়ে পাঁচ উইকেট নেন হাসারাঙ্গা। ১০ ওভারে ৭৯ রান খরচ করে পাঁচ উইকেট নেন। যিনি নিজের একদিনের ক্রিকেটের কেরিয়ারে ১৬ বার সেই মাইলস্টোন ছুঁয়েছেন। শুধু তাই নয়, টানা তিনটি ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়ার নজির গড়েছেন তিনি। একদিনের ক্রিকেটের ইতিহাসে তৃতীয় বোলার হিসেবে এমন নজির গড়লেন। ফলে হাসারাঙ্গার বাকি সতীর্থদের বেশি কিছু করতে হয়নি। দুটি উইকেট নেন মাহিশ থিকশানা। একটি করে উইকেট পান কাসুন রজিথা, লাহিরু কুমারা এবং দাসুন শানাকা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।