বাংলা নিউজ > ময়দান > ফুটবলের মহারণ > Pele and Kolkata: ১৯৭৭-এ প্রথম শহরে আসা পেলের,২০১৫-তেও ভালোবাসার টানে ফেরা,স্মৃতিতে ডুবল তিলোত্তমা
পরবর্তী খবর
Pele and Kolkata: ১৯৭৭-এ প্রথম শহরে আসা পেলের,২০১৫-তেও ভালোবাসার টানে ফেরা,স্মৃতিতে ডুবল তিলোত্তমা
3 মিনিটে পড়ুন Updated: 30 Dec 2022, 01:32 PM ISTTania Roy
পেলেকে ঘিরে যে হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে এই শহরের বুকে। সবই আজ বড় বেশি টাটকা। কলকাতার সঙ্গে পেলের সম্পর্ক যে বড় বেশি গভীর। ১৯৭৭ সালের পরেও, আরও একবার কলকাতায় এসেছিলেন পেলে। ভালোবাসার বাঁধনে কলকাতাকে জড়িয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন। আজ সেই স্মৃতিটুকুই সম্বল তিলোত্তমার।
মোহনবাগানের বিরুদ্ধে কসমসের হয়ে পেলের সেই ম্যাচ।
দীর্ঘ ৪৫ বছর আগে বৃষ্টিভেজা সেই বিকেলের স্মৃতি আজও অমলিন তিলোত্তমার মনে। ১৯৭৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ইডেনে খেলতে নেমেছিলেন কিংবদন্তি পেলে। বৃষ্টি ভেজা মাঠে ফুটবল সম্রাটকে খেলতে দেখার জন্য ইডেনে ছিল টানটান উত্তেজনা। ইডেনে ইতিহাস লেখা হয়েছিল সেই দিন। সেই ৪৫ বছর আগে ভারতের মাটিতে প্রথম বার পা রেখেছিলেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি।
ফুটবল সম্রাটের প্রয়াণের খবরে কলকাতা যেন শোকে বিহ্বল। যেন বাজ ভেঙে পড়েছে শহরের মাথায়। বিশ্ব ফুটবল মানেই তো কলকাতার কাছে ব্রাজিল-আর্জেন্তিনার দ্বৈরথ। ব্রাজিলের সমর্থনে রাত জেগে গলা ফাটানো। আর্জেন্তিনার সমর্থকদের সঙ্গে আকচাআকচি। আর এই আবহে ফুটবল সম্রাট পেলে আর রাজপুত্র মারাদোনাকে নিয়ে বারবার আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছে ফুটবল পাগল এই শহর। মারাদোনাকে আগেই হারিয়েছে, এ বার চোখের জলে বিদায় জানাতে হচ্ছে পেলেকেও। বৃহস্পতিবার রাতে পেলের প্রয়াণের খবর প্রকাশ্যে আশার পর থেকেই শোকে মুহ্যমান তিলোত্তমা।
পেলেকে ঘিরে যে হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে এই শহরের বুকে। সবই আজ বড় বেশি টাটকা। কলকাতার সঙ্গে পেলের সম্পর্ক যে বড় বেশি গভীর। ১৯৭৭ সালের পরেও, আরও একবার কলকাতায় এসেছিলেন পেলে। ভালোবাসার বাঁধনে কলকাতাকে জড়িয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন। আজ সেই স্মৃতিটুকুই সম্বল তিলোত্তমার।
১৯৭৭ সালে ভারতে প্রথম বার পা রেখেছিলেন ফুটবল সম্রাট পেলে। কসমস ক্লাবের হয়ে খেলতে এসেছিলেন তিনি। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ১৯৭৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মোহনবাগানের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচ খেলে কসমস। পেলে ছিলেন তাদের প্রধান প্লেয়ার। দর্শকে ভরা ইডেন গার্ডেন্সের মাঠে এই ম্যাচটি ছিল খুবই উত্তেজনায় ভরা। সেই ম্যাচে অবশ্য তিন বারের ফিফা বিশ্বকাপজয়ী পেলে তাঁর জাদু দেখাতে পারেননি। শুরু থেকেই সুব্রত ভট্টাচার্য, গৌতম সরকাররা কড়া মার্কিং-এ রেখেছিলেন পেলেকে। নড়তেও দেননি।
মোহনবাগানের খেলোয়াড়রা কিন্তু সেই ম্যাচে বিশ্বের সেরা প্লেয়ারকে আটকে দিয়েছিলেন। গোল করতে পারেননি পেলে। এমন কী পেলের কসমস ক্লাবকে চাপে রেখে একটা সময়ে ২-১-এ এগিয়েও গিয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু কসমসকে বিতর্কিত পেনাল্টি দেওয়া হয়। আর সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র করে পেলের ক্লাব।
সেই ম্যাচে অবশ্য প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল কসমসই। ১৭তম মিনিটে প্রথম গোলটি করেন কার্লোস আলবার্তো। যদিও এই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি পেলের ক্লাব। শ্যাম থাপার গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় মোহনবাগান। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগে আকবর দ্বিতীয় গোল করে ২-১ এগিয়ে দিয়েছিলেন সবুজ-মেরুনকে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান চাঙ্গালিয়া।
এই ম্যাচকে নিয়ে এখনও চর্চা চলে। বিশেষ করে এই ম্যাচে মোহনবাগান যে রকম লড়াই করেছিল, তা আজও প্রশংসিত।
পেলের প্রয়াত হওয়ার খবরে মন খারাপ কসমসের বিরুদ্ধে খেলা মোহনবাগানের অন্যতম প্লেয়ার গৌতম সরকারের। তিনি বলছিলেন, ‘পেলের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পাব, এ কথা তো কোনও দিন স্বপ্নেও ভাবিনি। নিউ ইয়র্ক কসমসের হয়ে পেলে কলকাতায় খেলতে আসায় আমরা সেই সুযোগ পাই। আমি, শিবাজি বন্দ্যোপাধ্য়ায়-সহ মোহনবাগানের সেই দলের সবাই পেলের বিরুদ্ধে খেলেছিলাম। আজ সেই টুকরো টুকরো স্মৃতি মনে পড়ছে। পেলে সে দিন আমার প্রশংসা করেছিলেন। ম্যাচের পর যখন আমরা তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলাম, তখন তিনি আমাকে বলেছিলেন, তুমিই কি ১৪ নম্বর জার্সি পরে খেলছিলে? তুমি তো আমাকে খেলতেই দাওনি। এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।