আইএসএলে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটিয়ে কেরালা ব্লাস্টার্স শুক্রবার আইএসএলের প্রথম এলিমিনেটরে দল তুলে নেয়। আর এই ঘটনায় হতবাক সুনীল ছেত্রী। তিনি কিছুটা হতবাক হয়েই বলেছেন, ২২ বছরের ফুটবল জীবনে তিনি এমন ঘটনা কখনও দেখেননি।
কেরালা ব্লাস্টার্সের দল তুলে নেওয়ার ঘটনায় বিস্মিত সুনীল ছেত্রী। দল আইএসএলের সেমিফাইনালে ওঠায় খুশি হলেও ভারতের ফুটবল অধিনায়ক জানিয়ে দিলেন এমন ঘটনা কখনও দেখেননি।
এ দিন নির্ধারিত সময়ে খেলা অমীমাংসিত থাকায়, ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ম্যাচের ৯৬ মিনিট নাগাদ বক্সের বাইরে সুনীলকে কেরালার এক ফুটবলার ফাউল করায়, ফ্রি-কিক দেন রেফারি ক্রিস্টাল জন। সেই ফ্রি-কিক দেওয়া নিয়ে সেভাবে উত্তপ্ত হয়নি পরিস্থিতি। তবে বিতর্কের আগুনে ঘি পড়ে ফ্রি-কিকের পর। কেরালার অভিযোগ, তাদের গোলরক্ষক এবং ফুটবলাররা প্রস্তুত হওয়ার আগেই শট মারেন সুনীল। রেফারিও গোল দিয়ে দেন। কেরালার ফুটবলাররা অভিযোগ করেন, রেফারি বাঁশি বাজানোর আগেই সুনীল শট নিয়েছেন। তাঁরা প্রস্তুত ছিলেন না। তাই গোল বাতিল করতে হবে। কিন্তু তাঁদের আবেদনে কর্ণপাত করেননি রেফারি।
আরও পড়ুন: ISL-এর ম্যাচ ঘিরে বিতর্কের ঝড়, দল তুলে নিল কেরালা, সেমিতে সুনীলরা- ভিডিয়ো
এর পরেই উত্তাপের মাত্রা বাড়ে। শুরু হয় বচসা। রেফারিকে ঘিরে ধরে প্রতিবাদ করেন কেরালার ফুটবলাররা। কিন্তু রেফারি গোলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করায় কোচ ইভান ভুকোমানভিচের নির্দেশে মাঠ ছাড়েন কেরল তাঁরা। চতুর্থ রেফারির সঙ্গে কথা বলেও খুশি হননি তিনি। ক্ষুব্ধ কেরালার কোচ মাঠে ঢুকে দল তুলে নেন। রেফারির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছে কেরালা শিবির।
এই ঘটনায় রীতিমতো বিস্মিত বেঙ্গালুরু এফসি শিবির। ম্যাচের পর স্টার স্পোর্টসকে সুনীল বলেন, ‘২২ বছরের ফুটবলজীবনে এমন ঘটনা কখনও দেখিনি। আমি সব সময় রেফারির সিদ্ধান্ত মেনে চলেছি। ওটা একটা তিক্ত এবং মিষ্টি মুহূর্ত ছিল। আমরা সেমিফাইনালে উঠতে পারায় আমি খুশি।’
আরও পড়ুন: প্লে-অফের আগে জেনে নিন ATKMB-কে কী কী বিষয় সমস্যায় ফেলতে পারে, দলের শক্তিই বা কী?
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি সব সময়ে রেফারিকে জিজ্ঞেস করি ফ্রি-কিক নিতে পারব কিনা। কারণ তিনি অনুমতি না দিলে, আমি শট নিতে পারব না। এটি একটি তিক্ত মুহূর্ত ছিল, তবে তাতে পরে মিষ্টিটাও যোগ হয়। প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম ম্যাচ হবে কি হবে না, তবে আমি খুশি যে আমরা সেমিফাইনালে পৌঁছেছি। মুম্বাইয়ের সঙ্গে লড়াই করার জন্য অপেক্ষা করছি।’ তিনি যোগ করেন, ‘রেফারি জানতে চেয়েছিলেন, তাঁরা বাঁশি বাজাবে, নাকি আমার ওয়াল লাগবে? আমি বলেছিলাম, আমার ওয়াল লাগবে না। আমার বাঁশিরও দরকার নেই। আমি সব সময়ে এটি করি এবং যদি সুযোগ থাকে, তবে আমি তা গ্রহণ করি। তা না হলে আমি বলি, ঠিক আছে, ওয়াল করা হোক। কারণ আপনার কাছে সব সময়ে সেই বিকল্প থাকে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।