আইএসএল নিয়ে চরম ডামাডোল চলছে। ইতিমধ্যেই আইএসএল স্থগিত রাখার কথা জানানো হয়েছে ক্লাবগুলোকে। মাস্টার রাইট এগ্রিমেন্ট না হওয়ার পর্যন্ত আইএসএল কবে হবে, আদৌ হবে কিনা, এই সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। ফেডারেশনের ভবিষ্যৎও আপাতত বিশ বাও জলে। যদিও আইএসএলসহ ভারতীয় ফুটবলের বড় প্রতিযোগিতাগুলো হবে ধরেই নিয়েই দল গুছিয়ে নিচ্ছে ইস্টবেঙ্গল।
ইন্টার কাশি থেকে তিন বছরের চুক্তিতে স্ট্রাইকার এডমুন্ড লালরিনডিকাকে সই করিয়ে ফেলল লালহলুদ শিবির। তিনিই এবারে ইস্টলেঙ্গলের দশ নম্বর জার্সি গায়ে খেলতে চলেছেন। এমনিতে সাম্প্রতিক সময় কলকাতার তিন প্রধানে অধিকাংশ সময়ই দেখা যায়, দলের সেরা বিদেশি বা সেরা তারকার হাতেই ১০ নম্বর জার্সি তুলে দিতে। কিন্তু এবার একটু অন্য পথেই হাঁটল ইস্টবেঙ্গলের ম্যানেজমেন্ট।
অতীতে ২০১৯-২০ আইলিগের সময়ও ইস্টবেঙ্গলের হয়েই খেলেছিলেন এডমুন্ড। তখন তিনি ডানপ্রান্তে খেলতেন। লোনে সেবার এসেছিলেন বেঙ্গালুরু এফসি থেকে। ২০২০ সালের ডার্বিতে ১৯ জানুয়ারি একটি গোলের ক্ষেত্রে অ্যাসিস্টও ছিল তাঁর, কিন্তু এরপর তিনি চোট পান। মিজোরাম থেকে উঠে আসা এই ফুটবলার শুধু স্ট্রাইকার হিসেবেই নয়, উইঙ্গার এবং অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের পজিশনেও খেলতে পারেন। গত মরশুমে ২৪টি ম্যাচে ইন্টার কাশির হয়ে ১৮৪৬ মিনিট মাঠে ছিলেন এই ফুটবলার, করেছেন ৪টি গোলও। রয়েছে ৬টি অ্যাসিস্টও। গত দুই মরশুমের আইলিগেই ভালো পারফরমেন্স ছিল এআইএফএফ-র এলিট অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসা এই ফুটবলারের। ২০২৩ সালে লোনে ইন্টার কাশিতে যান তিনি, এরপর ২০২৪ সালে ভারতীয় দলের জার্সিতেও কুয়েতের বিরুদ্ধে অভিষেক হয়েছিল তাঁর।
এডমুন্ডের দলে আসা নিয়ে হেড কোচ অস্কার ব্রুজো বলেন, 'ইন্টার কাশির হয়ে ভালো মরশুম কাটানোর পর ও দলে আসছে। জাতীয় দলেও সুযোগ পেয়েছে নিজের যোগ্যতায়। ওর পারফরমেন্সে আমরা নজর রেখেছিলাম। আমি খুশি যে ওকে আমরা দলে নিতে পেরেছি। এখনও ও তৈরি হচ্ছে, তাই ওকে ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে আক্রমণের ক্ষেত্রে ও অনেক ম্যাচেই পার্থক্য গড়ে দিতে পারে '।
পুরনো ক্লাবে ফিরতে পেরে এডমুন্ডও বলছেন, ‘আমি সব সময়ই ইস্টবেঙ্গলে ফিরে আসার স্বপ্ন দেখেছি। আমি যখন এই ক্লাবে প্রথম এসেছিলাম, তখন চোট পেয়ে ছিটকে গেছিলাম। ডার্বি ম্যাচে চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ার থেকে হতাশাজনক কিছুই হতে পারে না। তবে আমি এবার ফিরে এসেছি, নিজের অপূর্ণ কাজ করার জন্য। আমি গোল করতে চাই, ডার্বি জিততে চাই, প্রতিযোগিতাও চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। পাঁচ বছর আগে ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা আমায় অনেক ভালোবাসা দিয়েছিল। তাই আমি এবার দেখাতে চাই, যে আমিও ওদের জন্য কি করতে পারি। জয় ইস্টবেঙ্গল ’।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।