কথায় আছে রথযাত্রা মানেই বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ। তাই বলাই বাহুল্য ইতিমধ্যেই পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। শহরের বহু নামি দামি ক্লাব ইতিমধ্যেই খুঁটি পুজো করে নিয়েছে। কারণ দুর্গা পুজোর বাকি আর মাত্র আড়াই মাস। পুজো মানেই সাদা কাশফুল, পেজা তুলোর মতো মেঘ, নীল আকাশ আর মহালয়ার ভোর। আর মহালয়ার ভোর মানে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের উদার্ত কন্ঠে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। এই ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ না শোনা হলে বাঙালির শারদীয়া শুরুই হয় না।
তবে বর্তমান সময় কিছুটা বদলেছে। বর্তমান যুগের নব তম সংযোজন হল টেলিভিশনের ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে মহালয়ার ভোরে 'মহিষাসুরমর্দিনী' দেখানো হয়। সেখানেও থাকে নানা চমক। দেবী দুর্গার মহিষাসুরমর্দিনী রূপ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি রূপের গল্প তুলে ধরা হয়। তাই দেবীর মর্তে আগমন মানেই এখন রেডিয়োর পাশাপাশি টেলিভিশনের মহিষাসুরমর্দিনী নিয়েও দর্শকরা যথেষ্ট উদগ্রীব থাকেন। তাই দর্শক চমক দিয়ে মহিষাসুরমর্দিনীর প্রথম প্রোমো প্রকাশ্যে আনল স্টার জলসা। পঞ্জিকা মতে এবছর দেবীর আগমন হবে গজে। আর সেই ছোঁয়াই পাওয়া গেল স্টার জলসা মহিষাসুরমর্দিনীর প্রথম প্রোমোয়।
স্টার জলসা মহিষাসুরমর্দিনীর প্রথম প্রোমোয় কী দেখা গিয়েছে?
প্রোমোর শুরুতেই দেখা গিয়েছে একটা রুক্ষ-শুষ্ক অঞ্চলে বেশ কিছু শকুন বসে। আর শকুন দেখেই বোঝা যাচ্ছে সেখানে যথেষ্ট ধ্বংস লীলা চলেছে, মানব জীবন বিপর্যস্ত। আর তার মাঝেই সেই শুকনো মরুতে নূপুর পরা আলতা রাঙা দেবীর চরণ। দেবীর চরণ স্পর্শে সেই শুকনো মাটি হয়ে ওঠে সুজলা সুফলা শষ্য শ্যামলা। তারপর দেখা যায় গজরাজ অর্থাৎ হাতির পা। আবহ থেকে একটি কন্ঠে শোনা যায়, ‘মা আসছেন গজে, নিয়ে আসছেন শান্তির আশীর্বাদ।’ তারপরই দেবীর বাহন সিংহকে দেখা যায় হুঙ্কার ছাড়তে। গাছের ডালে উড়ে এসে বসে দেবী লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা।
ফের আবহ থেকে শোনা যায়, ‘শষ্য শ্যামলা হয়ে উঠবে পৃথিবী।’ আর পর্দায় তখন দেবী ত্রিশূল হাতে হাতির পিঠে। সোনালি ধানে ভরা মাঠ দিয়ে মৃদুমন্দ গতিতে এগিয়ে চলেছে গজরাজ, আর তাঁদের দূর থেকে দেখছে কার্তিকের বাহন ময়ূর। আর গজরাজে উপবিষ্ট দেবীর পিছে পিছে আসছে বনের সব পশুরা। তারপরই আবহ থেকে ভেসে আসে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে সেই অতি পরিচিত ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। এরপর দেখা যায় 'মাতৃরূপেণ সংস্থিতা' আসছে। তবে এই পুরো টিজারটি দেখানো হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা নির্মিত অ্যানিমেটেড ভিডিয়োর মাধ্যমে। ফলে দেবীর ভূমিকায় কাকে দেখা যাবে তা এখনও জানা যায়নি।