এই দম্পতি আধুনিক চিকিৎসার ওপর বিশ্বাসী ছিলেন। প্রাকৃতিক নিয়মেই বাড়িতে সন্তান প্রসবের পক্ষপাতী ছিলেন। তাই ইউটিউবে টিউটোরিয়াল ভিডিয়ো দেখে বাড়িতে সন্তান প্রসবের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। প্রসবের সময় মহিলার প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়েছিল। পুলিশ জানায়, এর জেরে ওই অচেতন হয়ে পড়েন।
বাড়িতে সন্তান প্রসব করতে গিয়ে মৃত্যু মহিলার। প্রতীকী ছবি
ইউটিউব দেখে বাড়িতে সন্তান প্রসবের সময় মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল। মৃত্যু হল মহিলার। ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ু কৃষ্ণগিরি জেলায়। এই ঘটনায় সদ্যোজাতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মহিলার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন পরিবারের সদস্যরা। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নাম ভি লগনায়াকি। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার। এই ঘটনায় জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, কৃষিতে স্নাতকোত্তর এই দম্পতি আধুনিক চিকিৎসার ওপর বিশ্বাসী ছিলেন না। প্রাকৃতিক নিয়মেই বাড়িতে সন্তান প্রসবের পক্ষপাতী ছিলেন। তাই ইউটিউবে টিউটোরিয়াল ভিডিয়ো দেখে বাড়িতে সন্তান প্রসবের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। প্রসবের সময় মহিলার প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়েছিল। পুলিশ জানায়, এর জেরে ওই অচেতন হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি বিপজ্জনক বুঝে তাঁর স্বামী তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামী মাদেশ স্বাভাবিক জীবনযাপনে বিশ্বাসী ছিলেন। তাই তাঁরা বাড়িতেই সন্তান প্রসবের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। জানা যায়, মাদেশ এবং লগনায়াকি ধর্মপুরীতে থাকেন। তাঁরা সন্তান প্রসবের ২০ দিন আগে পার্শ্ববর্তী কৃষ্ণগিরি জেলায় মায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ধর্মপুরীতে থাকাকালীন দম্পতি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র চিকিৎসকের কাছে গেলেও পরে তাঁরা চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ করা বন্ধ করে দেন। সেখানে তাঁরা জানান যে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাবেন। কিন্তু, তারপরে ওই মহিলা ওষুধ খাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তাঁর স্বামী তাঁকে শুধুমাত্র প্রাকৃতিক ওষুধ ব্যবহার করতে বলেছিলেন। কীভাবে প্রাকৃতিক নিয়মে সন্তান প্রসব করা যায়? তার ইউটিউব ভিডিয়ো বেশ কয়েকদিন ধরেই দেখছিলেন মাদেশ। কিন্তু, প্রসবের সময় সমস্যা তৈরি হয়। ভুল করে ফেলেন মাদেশ। তিনি নাড়ি কাটতে পারেনি। তাতেই জটিলতা তৈরি হয়। প্রচণ্ড রক্তক্ষরণের পর ওই মহিলাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরিবারের সদস্যরা মৃতদেহ নিয়ে এসে শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। একজন স্বাস্থ্যকর্মী জানানোর পর পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে।