বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের ঘটনায় কোনও মামলা করা হবে না বলে জানিয়ে দিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্রদের আন্দোলন শুরু হয়েছিল জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে। ১৫ জুলাই থেকে আন্দোলন শুরু হয়।
Ad
বাংলাদেশে ছাত্র-গণ আন্দোলনে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ? স্পষ্ট করল সরকার
কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন বাংলাদেশে ক্রমেই পরিণত হয়েছিল গণঅভ্যুত্থানে। যার ফলে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করতে হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। আর তারপরেই গত অগস্ট মাসে বাংলাদেশে আওয়ামী লিগ সরকারের পতন ঘটে। পরবর্তীতে দেশের শাসনভার নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পরেই একে একে আওয়ামী লিগ সরকারের প্রাক্তন নেতা মন্ত্রীদের গ্রেফতার, বিভিন্ন অপরাধে মামলা রুজু থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে গণআন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে কী কোনও পদক্ষেপ করা হবে বা মামলা হবে কিনা তা প্রশ্ন উঠেছিল বিভিন্ন মহলে। এবার সেবিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিল অন্তবর্তী সরকার।
বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের ঘটনায় কোনও মামলা করা হবে না বলে জানিয়ে দিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্রদের আন্দোলন শুরু হয়েছিল জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে। ১৫ জুলাই থেকে আন্দোলন শুরু হয়। তারপরে ক্রমেই সেই আন্দোলন গণ অভ্যুত্থানের রূপ নিলে ৫ অগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে রয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুস। তাঁর সরকার জানিয়ে দিয়েছে, জুলাই থেকে অগস্ট পর্যন্ত ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের জন্য কোনও মামলা করা হয়নি। এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হবে না বা মামলা করে হয়রানি করা হবে না বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রথম সারির একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ছাত্র এবং গণআন্দোলনের জেরে বাংলাদেশের ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার যাত্রা শুরু হয়েছে। ছাত্র-জনতার সক্রিয়ভাবে প্রয়াসে গণঅভ্যুত্থান এবং এই আন্দোলন সফল হয়েছে। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে না, অথবা গ্রেফতার বা হয়রানি করা হবে না।