সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, চিনের হাসপাতালে কোভিডকালের মতো ভিড় উপচে পড়েছে। জানা গিয়েছে, হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে আক্রান্ত হয়েই চিনের মানুষজন হাসপাতালে ছুটছেন। এই সংক্রমণে শিশু এবং বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বলেও দাবি করা হচ্ছে। যদিও সরকারি ভাবে চিনের তরফ থেকে এই নিয়ে কিছু বলা হয়নি। কিন্তু কী এই হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি? কী এর উপসর্গ? উল্লেখ্য, আমেরিকান লাং অ্যাসোসিয়েশনের মতে, শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণকে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ২০০১ সালে নেদারল্যান্ডসের গবেষকরা এর আবিষ্কার করেছিলেন। (আরও পড়ুন: এই মাসেই ফাঁসি, 'কথা বলার' আস্বাস, নিমিশার স্বামী বললেন- 'লাস্ট মিনিট পার্ডন...')
আরও পড়ুন: চিন্ময় প্রভুকে কি রীতিমতো 'ভয়' পাচ্ছে ইউনুস সরকার? তাদের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে...
আরও পড়ুন: ১০ বছর মার্কিন সেনায় থাকা জব্বরের সঙ্গে চলে পুলিশের গুলির লড়াই, দেখুন ভিডিয়ো
শীত এবং বসন্তের মাসগুলিতে আমেরিকায় হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস প্রকোপ দেখা যায়। সাধারণত ঠান্ডা লাগার মতোই উপসর্গ তৈরি করে এই হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস। কিছু ক্ষেত্রে এই সংক্রমণের উপসর্গগুলো কোভিড ১৯-এর মতো মারাত্মক হতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। এদিকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, এইচএমপিভি মোকাবিলায় অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ব্যবহারে সাবধান থাকতে হবে। এদিকে এই ভাইরাসের এখনও কোনও ভ্যাকসিন নেই বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে ঢুকল মায়ানমার সেনা সদস্যরা!)
আরও পড়ুন: গোয়েন্দা রিপোর্টের কারণে হিন্দুদের BCS থেকে বাদ? এবার নয়া দাবি বাংলাদেশ সরকারের
আরও পড়ুন: আন্দামান, মণিপুর… বাজেয়াপ্ত স্টারলিঙ্ক ডিভাইস নিয়ে তদন্ত, পদক্ষেপের পথে সরকার?
উল্লেখ্য, কোভিডের সঙ্গে এইচএমপিভি-র অনেক ক্ষেত্রেই মিল রয়েছে। এটিও হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সংক্রমিত ব্যক্তির থেকে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। রোগীর ব্যবহৃত জিনিসের সংস্পর্শে এলেও এই রোগের সংক্রমণ ঘটতে পারে বলে দাবি করা হয়। এই সংক্রমণে মূলত শিশু এবং বৃদ্ধরা অসুস্থ হচ্ছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। জ্বর, সর্দি-কাশি ছাড়া গলা ব্যথা থেকে শারীরিক দুর্বলতাও দেখা দিতে পারে এই হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাসের সংক্রমণের জেরে। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মতে, এটি একটি উপরের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, তবে এটি কখনও কখনও নিউমোনিয়া, হাঁপানির মতো নিম্ন শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের আকার ধারণ করতে পারে। অথবা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজের (সিওপিডি) স্থিতি আরও খারাপ করে তুলতে পারে এই ভাইরাস। এই সংক্রমণের কারণে অসুস্থতার তীব্রতা রোগীর উপর নির্ভর করে। তবে স্বাভাবিক ভাবে ইনকিউবেশন সময়কাল ৩ থেকে ৬ দিন হতে পারে।