ভারতীয় সেনা বিশ্বাস পুনরায় স্থাপন করার চেষ্টা করছে। জানালেন চিফ অফ আর্মি স্টাফ জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারত ও চিনের মধ্য়ে একটা টহলদারি চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার পরে একথা জানিয়েছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান।
জেনারেল জানিয়েছেন, এই (বিশ্বাসের পুনরুদ্ধার) একবার হবে, আমরা একে অপরকে দেখতে পারব, ফের বোঝানো ও ফের নিশ্চিত করার কাজ করা হবে, আমরা বাফার জোনে থাকছি না যেটা আগে তৈরি করা হয়েছিল। খবর এনডিটিভি অনুসারে।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলএসি) পরিস্থিতি ২০২০ সালের এপ্রিলের স্থিতাবস্থায় ফিরে আসার পরেই ভারতীয় বাহিনী লাদাখে চিনের সাথে পিছু হটবে।
চার বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা অচলাবস্থার পর পূর্ব লাদাখে ভারত ও চিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে বলে নয়াদিল্লি ঘোষণা করার একদিন পর তিনি এই মন্তব্য করলেন।
জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, বাহিনী চিনা পক্ষের সাথে বিশ্বাস পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে, যারা তার আক্রমণাত্মক কার্যকলাপের মাধ্যমে এলএসিকে স্থিতিশীলতা ভাঙার চেষ্টা করেছিল।
আমরা ২০২০ সালের এপ্রিলের স্থিতাবস্থায় ফিরে যেতে চাই। এরপরে আমরা ডিসএনগেজমেন্ট, ডি-এসকেলেশন এবং এলএসির স্বাভাবিক ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দেব। ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে এটাই আমাদের অবস্থান। এখন পর্যন্ত আমরা আস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। এটি তখনই ঘটবে যখন আমরা একে অপরকে দেখতে সক্ষম হব এবং আমরা একে অপরকে বোঝাতে ও আশ্বস্ত করতে সক্ষম হব যে আমরা তৈরি করা বাফার জোনে যাচ্ছি না।
২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাসে এলএসি-তে বেজিংয়ের আগ্রাসী অবস্থানের কারণে ভারত ও চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
ভারত মনে করে, ২০২০ সালের মে মাসের আগে ডি-ফ্যাক্টো সীমান্তের পরিস্থিতি যেমন ছিল, তেমনই ফিরবে চিনের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে।
সোমবার বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি জানিয়েছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর টহলদারি ব্যবস্থা নিয়ে ভারত ও চিন একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, 'আমরা ডব্লিউএমসিসির মাধ্যমে চিনা মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি, যেমনটি আগে উল্লেখ করা হয়েছিল এবং সামরিক স্তরেও বিভিন্ন স্তরের সামরিক কমান্ডারদের বৈঠকের মাধ্যমে। এই আলোচনার ফলে অতীতে বিভিন্ন স্থানে অচলাবস্থার সমাধান হয়েছে। আপনারা এটাও জানেন যে কয়েকটি জায়গা ছিল যেখানে অচলাবস্থার সমাধান হয়নি।
'এখন গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যে আলোচনা হয়েছে তার ফলস্বরূপ, ভারত-চিন সীমান্ত অঞ্চলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর টহল ব্যবস্থা নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে এবং এর ফলে ২০২০ সালে এই অঞ্চলগুলিতে উদ্ভূত সমস্যাগুলির অবসান ঘটছে এবং অবশেষে এই অঞ্চলগুলিতে উদ্ভূত সমস্যাগুলির সমাধান হচ্ছে। ' বলেন তিনি।
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পরিস্থিতি ২০২০ সালের মে মাসের আগে যেমন ছিল, তেমনই ফিরে এসেছে।