শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। সেনার হাতে গিয়েছে ক্ষমতা। অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ গ্রহণ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই। তবে তার পরেও শান্ত হয়নি বাংলাদেশ। এখনও একাধিক ঘটনা হচ্ছে যা উদ্বেগের।
এদিকে নানা মাধ্যমে খবর আসছে যে বাংলাদেশে সংখ্য়ালঘুদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। এবার এনিয়ে বিশেষ বার্তা দিয়েছে ভারতের বিদেশ দফতর। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে যে আমরা গোটা বিষয়গুলি সম্পর্ক অবহিত। একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমরা সেই পদক্ষেপগুলিকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোটা না ফেরা পর্যন্ত উদ্বেগ থাকবে। আইন ও সরকারের দায়িত্ব হল সমস্ত নাগরিকদের সুরক্ষা যাতে বজায় থাকে। এটা সেই দেশের স্বার্থরক্ষার জন্য দরকার। বৃহত্তরক্ষেত্রে এটা দরকার।
গত সোমবার হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংখ্যালঘুদের উপরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, যশোরের বিভিন্ন প্রান্তে হিন্দুদের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে আগুন। চলেছে ডাকাতি। অভয়নগর, বাঘারপাড়ার মতো উপজেলায় সেইসব ঘটনা ঘটেছে।
ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাঘারপাড়ার নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবলুকুমার সাহা জানিয়েছেন, যা ঘটনা ঘটছে, তাে এলাকার হিন্দুরা ভয় সিঁটিয়ে আছেন। মন্দিরে হামলা চালানো হচ্ছে। ভাঙচুর চালানো হচ্ছে বাড়িতে। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে ছোট-ছোট দল তৈরি করে নিজেরাই এলাকায় পাহারা দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বাঘারপাড়ার নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তাঁর বাড়িতেও হামলা চলেছে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এদিকে আতঙ্কে ভারত বাংলাদেশ বর্ডারের কাছে বহু বাংলাদেশী জড়ো হয়ে যাচ্ছিলেন বলে খবর। তবে সেখানে যে কেবলমাত্র বাংলাদেশের সংখ্য়ালঘুরা এসে জড়ো হচ্ছেন তেমনটা নয়। এনিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে বিএসএফ। নিজেদের বিবৃৃতি দেওয়া হয়েছে।
বিএসএফের তরফে বলা হয়েছে, কিছু গুজবের সঙ্গে ব্যাপারটি মিলছে না, বিএসএফ গোটা বিষয়টি পরিষ্কার করে বলছে যে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর সংখ্য়ালঘু মানুষ ভারতীয় সীমান্তের দিকে চলে আসছে তেমনটা হচ্ছে না। স্থানীয় স্তরে অস্থিরতার জেরে কিছু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। বিএসএফ বিজিবি ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের বাড়ি ফেরাতে সবরকম উৎসাহ দিয়েছে।
বিএসএফের নর্থবেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার সীমান্ত সুরক্ষা যথাযথ রাখতে ও সীমান্ত এলাকায় প্রত্যেক মানুষের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। গোটা পরিস্থিতির উপর সবরকমভাবে নজর রাখছে বিএসএফ।