ভারত থেকে রপ্তানি করা পণ্যে শুল্কের পরিমাণ বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।আর তারপর থেকেই পতনের কবলে দেশের শেয়ার বাজার। শুক্রবার বাজার খোলার পর থেকেই সেনসেক্স ও নিফটি৫০-র পয়েন্ট কমছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছে কয়েকটি স্টক।বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ শুল্ক বসানোর ঘোষণা যে শেয়ার বাজারকে টেনে নামাবে তা আগে থেকে জানাই ছিল।
সপ্তাহান্তে শেয়ার বাজারে অস্থিরতা অব্যাহত রয়েছে। সকালে বাজার খুলতেই নিম্নগামী হল সেনসেক্স এবং নিফটি। আজ সকাল ১০ টা ৮ নাগাদ বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক সেনসেক্স প্রায় ০.৬২ শতাংশ অথবা ৪৯৫.৯৬ পয়েন্ট কমে হয়েছে ৮০,১২৭.৩০ এদিকে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক নিফটি প্রায় ০.৫৯ শতাংশ অথবা ১৪৫.৩৫ পয়েন্ট নিম্নগামী হয়ে ছিল ২৪,৪৫০.৩৫-এর স্তরে।এদিন নিফটি মিডক্যাপ ১০০ এবং নিফটি স্মলক্যাপ ১০০ -এর সূচক হ্রাস পেয়েছে। অধিকাংশ সেক্টরের সূচক চলে যায় রেডজোনে। সেগুলি হল নিফটি ব্যাঙ্ক, নিফটি অটো, নিফটি পিএসইউ ব্য়াঙ্ক, নিফটি ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস, নিফটি মেটাল, নিফটি এনার্জি, নিফটি প্রাইভেট ব্য়াঙ্ক, নিফটি ইনফ্রা, নিফটি কমোডিটিজ, নিফটি কনজাম্পশন, নিফটি পিএসই, নিফটি সার্ভিসেস সেক্টর, নিফটি কনজিউমার ডিউরেবলস এবং নিফটি অয়েল অ্যান্ড গ্যাসের সূচক।
বৃহস্পতিবার কিন্তু বেলা গড়াতেই বদলে যায় পরিস্থিতি। বাজার বন্ধের সময় সেনসেক্স ও নিফটি৫০-র গ্রাফ ফের পজিটিভে। যা দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন দেশের লগ্নিকারীরা। শুক্রবারও তেমনই আশা করছেন বিনিয়োগকারীরা।বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, বাজারে যতটা প্রতিক্রিয়া দেখার আশঙ্কা ছিল, ততটা দেখা যায়নি। দেশের রফতানি, আর্থিক বৃদ্ধি যেখানে চোট খেতে পারে, সেখানে এটুকু ধাক্কা তো লাগবেই। সংশ্লিষ্ট মহলের অনেকের বার্তা, এভাবে যথেচ্ছাচার করে ট্রাম্পও রেহাই পাবেন না। শুল্কের প্রভাব তাঁর নিজের দেশেই টের পাবেন তিনি। খারাপ এটাই, ট্রাম্প নীতিতে ভুগতে হতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষকে। বরং ভারতের অর্থনীতি অনেক বেশি দেশীয় চাহিদা নির্ভর। ইতিমধ্যেই বিকল্প বাজার খুঁজতে শুরু করেছেন রফতানিকারীরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও ভাবেই চাপের কাছে মাথা নুইয়ে ভারতের কৃষি এবং দুধের বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুলে দেওয়া হবে না। তার জন্য ব্যক্তিগত ভাবে চড়া মাসুল চোকাতেও রাজি তিনি।
এই বিষয়ে ইক্যুইনমিক্স রিসার্চের প্রতিষ্ঠাতা জি চোক্কালিঙ্গম বলেন, ‘শুল্কের জেরে বেশ কয়েকটি সেক্টর এবং সংস্থার উপরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কিন্তু দেশের অর্থনীতি বা স্টক মার্কেটের সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর ততটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারবে না ট্রাম্প ট্যারিফ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়, তা ভারতের মোট জিডিপি-র মাত্র ২ শতাংশ।