উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার মানা গ্রামে তুষারধসের নিচে চাপা পড়ে অন্তত চার শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। শুক্রবার তুষারধসের কবলে পড়েন বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের ৫৫ জন কর্মী। ৫০ জনকে তুষার থেকে বের করে আনা হয়েছে এবং বাকি পাঁচ শ্রমিকের সন্ধান চলছে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে ভোর ৬টার মধ্যে বিআরও ক্যাম্পে তুষারধস আঘাত হানে, শ্রমিকরা আটটি কন্টেইনার এবং একটি শেডের ভিতরে চাপা পড়ে যান।
এরপর থেকে আটকে পড়া শ্রমিকদের বাঁচাতে সময়ের সঙ্গে মরিয়া লড়াইয়ে দুর্গম অঞ্চল, চোখ ধাঁধানো তুষারপাত ও হিমশীতল তাপমাত্রার সঙ্গে লড়াই করছে উদ্ধারকারী দলগুলো।
‘ একটি বিশাল তুষারধস শিবিরে আঘাত হানে, ৫৫ জন শ্রমিক আটকে পড়েন (দুজন শ্রমিক ছুটিতে ছিলেন)। চামোলির ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট সন্দীপ তিওয়ারি বলেন, ’তুষারপাত ও হিমশীতল আবহাওয়ার মধ্যে ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ (আইআরবিপি) এবং সেখানে মোতায়েন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করেন।

শুক্রবার বৃষ্টি ও তুষারপাতের কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হয় এবং রাত নামার সাথে সাথে অভিযান স্থগিত করা হয়।
শনিবার আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় উদ্ধারকাজে যোগ দিতে হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়।
দেরাদুনের জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, রাস্তা বন্ধ থাকায় সরিয়ে নেওয়ার জন্য মোট ছ'টি হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৩টি চিতা হেলিকপ্টার, ভারতীয় বায়ুসেনার ২টি চিতা হেলিকপ্টার এবং একটি সিভিল হেলিকপ্টার।
এদিকে এই তুষারধসে আটকে পড়াদের আটকাতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে উদ্ধারকারী টিম। দুর্গতদের উদ্ধারের জন্য নানা ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এদিকে, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি তুষারধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা আকাশপথে পরিদর্শন করেছেন। তিনি একজন আহত শ্রমিকের সাথেও কথা বলেছিলেন যাকে চিকিৎসার জন্য জ্যোতির্মঠে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্য়মন্ত্রী এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, 'চামোলি জেলার মানার কাছে তুষারধস এলাকায় আকাশপথে সমীক্ষা করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছি।
ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ যাতে দ্রুত ও কার্যকরভাবে পরিচালিত হয় তা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি। উত্তরাখণ্ডের মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, 'আমাদের সরকার ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য দ্রুত কাজ করছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে।
সব মিলিয়ে উদ্ধারকাজের একের পর এক আপডেট সামনে আসছে। ছবিতে দেখা গিয়েছে যে প্রচন্ড বরফ শীতল এলাকায় দুর্গতদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হচ্ছে।