ইউএসএইডের কর্মীদের সকল ক্লাসিফায়েড নথি নষ্ট করে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হল বলে দাবি রিপোর্টে। এই নিয়ে মঙ্গলবার মার্কিন আদালতে একটি আবেদন করা হয়। সরকারি কর্মীদের সংগঠন এই নথি নষ্টের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দাবি করেছেন। দাবি করা হয়েছে, এইএসএইডের বর্তমান এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি এরিকা কার নির্দেশ দিয়েছিলেন, ক্লসিফায়েড তথ্য এবং ব্যক্তিগত নথি 'সাফ' করতে হবে। ইমেলে নাকি এরিকা কার লিখেছিলেন, প্রথমে সেই ক্লাসিফায়েড নথিগুলিকে কুচি কুচি করে ছিঁড়তে হবে, তারপর সেগুলি পুড়িয়ে ফেলতে হবে। (আরও পড়ুন: চালাতে না পারলেও টুকটুকে লাল রঙের টেসলা কিনলেন ট্রাম্প, গাড়িটির দাম কত জানেন?)
আরও পড়ুন: ভারতে স্টারলিংক ইন্টারনেট আনতে এয়ারটেলের পর স্পেসএক্সের সঙ্গে চুক্তি জিও-র
এদিকে এই গোটা বিতর্কের আবহে মুখ খুলেছেন হোয়াইট হাউজের ডেপুটি প্রেস সচিব অ্যানা কেলি। তিনি বলেন, 'এই খবরে অযথা আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। যে নথি নষ্ট করতে বলা হয়েছিল, সেগুলি অন্যান্য এজেন্সি থেকে পাওয়া নথি। আর সেগুলির অরিজিনাল তথ্য এখনও কম্পিউটারে আছে। এই নথিগুলি পুরনো বলে সেগুলিকে নষ্ট করতে বলা হয়েছিল।' এদিকে ইউএসএইডের নথি নষ্টের বিষয়ে সরকারি কর্মীদের বক্তব্য, এই নির্দেশ ফেডারেল নথি সংগ্রহ সংক্রান্ত বিধির পরিপন্থী। পরবর্তীতে তারা কোনও সমস্যায় পড়লে, সেই সংক্রান্ত প্রমাণ এতে নষ্ট হয়ে যাবে। (আরও পড়ুন: মৃত ৩০, মান বাঁচাতে মিথ্যা বলে পাক সেনা? ট্রেন হাইজ্যাক কাণ্ডে বড় দাবি বালোচদের)
এর আগে জানা গিয়েছিল, বাংলাদেশের রাজনৈতিক 'দৃশ্যপট শক্তিশালী' করতে ২৯ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছিল ইউএসএইড। এই নিয়ে ট্রাম্প আবার দাবি করেছিলেন, এমন এক সংস্থাকে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছিল, যার নাম আগে কেউ শোনেনি। সেখানে মাত্র দুজন কর্মী কাজ করেন। এদিকে ভারতেও ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছিল ভোটের হার বৃদ্ধির জন্যে। প্রশ্ন ওঠে, ভারতে ২১ মিলিয়ন ডলার 'সাহায্য' করে কি ভোটের ফল প্রভাবিত করতে চেয়েছিল আমেরিকা? এই নিয়ে ট্রাম্প আবার বলেছিলেন, 'ভারতে ভোটের হার বৃদ্ধির জন্যে আমাদের কেন ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে? আমার মনে হয় ওরা (এই অর্থায়নে অনুমোদন করা কর্তৃপক্ষ) অন্য কাউকে ভোটে জেতাতে চাইছিল। আমাদের এই বিষয়টি ভারত সরকারকে জানাতে হবে। এটা বিশাল বড় ব্রেকথ্রু। রাশিয়া আমাদের দেশের নির্বাচনের সময় ২০০০ ডলার খরচ করেছিল বিজ্ঞাপনে। সেটাই তো কত বড় ইস্যু হয়ে গিয়েছল। আর এটা তো ২১ মিলিয়ন ডলার!' যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজে এত সব বলছেন, সেখানে ক্লাসিফায়েড নথি নষ্টের নির্দেশিকা ঘিরে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক।