আবার কোটাতে মর্মান্তিক ঘটনা। আইআইটি JEE পরীক্ষায় বসার জন্য় প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মণীশ প্রজাপতি নামে এক ছাত্র। তার বাবা ছেলেকে রাজস্থানের কোটার হস্টেলে দেখে উত্তরপ্রদেশের বাড়িতে ফিরছিলেন। রাস্তাতেই খবর পেলেন ছেলে আর নেই। কোটার হস্টেলে ফ্য়ানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে ওই ছাত্রের দেহ। বয়স মাত্র ১৭ বছর। ছেলে আগামীদিনে প্রতিষ্ঠিত হবে এই স্বপ্ন দেখতেন বাবা মা। প্রস্তুতির জন্য তাঁরা কোটাতে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেই সব শেষ হয়ে গেল।
এই কোটাতে প্রতিবছর হাজার হাজার পড়ুয়াদের তাদের স্বপ্নপূরণের প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য ছুটে আসেন। কারোর স্বপ্ন পূরণ হয় কেউ বা হারিয়ে যান চিরতরে। এযাবৎ কালে এনিয়ে ১৯জনের এই ধরনের অস্বাভাবিক মৃত্য়ু হল কোটাতে।
তেমনি স্বপ্ন নিয়ে কোটাতে এসেছিলেন মণীশ। সেই মতো প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। মাস খানেক আগে তিনি কোটাতে এসেছিলেন। কিন্তু তাঁর প্রস্তুতি ঠিকঠাক হচ্ছিল না। কিছুটা মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের আজমগড় থেকে তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। বৃহস্পবার সন্ধ্যায় তিনি ছেলেকে দেখে বের হয়ে যান।
রাত ৮টা নাগাদ তিনি ছেলেকে ফোন করেন। ফোনটি ক্রমাগত বেজে যাচ্ছিল। কেউ ধরছিল না। এরপর তিনি হস্টেলে ফোন করেন। হস্টেলের কেয়ারটেকার জানিয়ে দেন, তিনি মণীশের কোনও সাড়াশব্দ পাচ্ছেন না। এরপর সময় ক্রমশ এগোতে থাকে। আরও উদ্বেগের মধ্য়ে পড়ে যান বাবা। ছেলে কিছু করে বসেনি তো! এরপর রাকেশ ঘরের জানালা দিয়ে দেখেন ভয়াবহ দৃশ্য।
ফ্যান থেকে বিছানার চাদর দিয়ে ঝুলছিল দেহটি । এমনটাই দাবি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে সম্ভবত এটি আত্মহত্যার ঘটনা। খবর পেয়েছে ছেলেটির বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। সম্ভবত অতিরিক্ত প্রত্যাশার চাপ সহ্য করতে পারছিলেন না মণীশ। সেকারণেই চরম সিদ্ধান্ত। শোকে পাথর হয়ে গিয়েছে গোটা পরিবার। একের পর এক মেধাবী ছাত্রের মৃত্যু কোটাতে।