সাধারণত, এই ধরনের চুক্তির ক্ষেত্রে শেয়ারহোল্ডারদের ভোটাভুটি নেওয়া হয়। তবে এই চুক্তির ক্ষেত্রে যাতে শেয়ারহোল্ডারদের 'হস্তক্ষেপ' বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, তার জন্য আইনে বদল আনছে সেদেশের সরকার। এদিকে ইউবিএস ক্রেডিট সুইসকে কিনে নেওয়ায় শীঘ্রই প্রায় ১০ হাজার কর্মী চাকরি হারাতে পারেন।
সংকট কাটাতে ২ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে সুইস ক্রেডিট কিনে নিতে চলেছে ইউবিএস ব্যাঙ্ক।
১৬০ বছরেরও বেশি পুরনো ক্রেডিট সুইস ব্যাঙ্ককে কিনে নিতে চলেছে ইউবিএস ব্যাঙ্ক। সুইৎজারল্যান্ড সরকারের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি সম্পন্ন হচ্ছে। জানা গিয়েছে, সংকট কাটাতে ২ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে সুইস ক্রেডিট কিনে নিতে চলেছে ইউবিএস ব্যাঙ্ক। চুক্তির অংশ হিসাবে ইউবিএস-কে ১০০ বিলিয়ন ডলারের 'লিকুইডিটি লাইন' দিতে সম্মত হয়েছে সুইস ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক। অর্থাৎ, ব্যাঙ্ক পরিচালনার ক্ষেত্রে নগদ প্রবাহের প্রয়োজনে সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত সাহায্য পাবে ইউবিএস। উল্লেখ্য, ক্রেডিট সুইস যদি দেউলিয়া হয়ে যেত এবং বন্ধ হয়ে যেত, তাহলে গোটা বিশ্ব অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়তে পারত। (আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলনের মাঝেই এবার সরকারি কর্মীদের নিয়ে কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতার)
প্রসঙ্গত, দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কায় শেয়ারবাজারে ক্রমাগত দরপতন ঘটছিল ক্রেডিট সুইসের। গত শুক্রবার ব্যাঙ্কের ভ্যালুয়েশন ছিল প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার। তবে ২ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ক্রেডিট সুইসের সব শেয়ার চলে যাচ্ছে ইউবিএস-এর পকেটে। এদিকে এই চুক্তি সম্পন্ন করতে নিজেদের দেশের আইন বদল করতে চলেছে সুইৎজারল্যান্ড। সাধারণত, এই ধরনের চুক্তির ক্ষেত্রে শেয়ারহোল্ডারদের ভোটাভুটি নেওয়া হয়। তবে এই চুক্তির ক্ষেত্রে যাতে শেয়ারহোল্ডারদের 'হস্তক্ষেপ' বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, তার জন্য আইনে বদল আনছে সেদেশের সরকার। এদিকে ইউবিএস ক্রেডিট সুইসকে কিনে নেওয়ায় শীঘ্রই প্রায় ১০ হাজার কর্মী চাকরি হারাতে পারেন।
এদিকে এই চুক্তি সম্পর্কে এখনও দুই ব্যাঙ্কের কোনও কর্তাই মন্তব্য করতে চাননি। উল্লেখ্য, বাজারে অংশিদারিত্বের নিরিখে বর্তমানে সুইৎজারল্যান্ডের সর্ববৃহৎ ব্যাঙ্ক হল ইউবিএস। এদিকে এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানেই ছিল ক্রেডিট সুইস। সম্প্রতি ক্রেডিট সুইস তাদের আর্থিক প্রতিবেদনে অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় দুর্বলতার কথা জানিয়েছিল। এরপর শেয়ারবাজারে ক্রেডিট সুইসের শেয়ারের ব্যাপক দরপতন শুরু হয়। এই আবহে ক্রেডিট সুইসকে ৫৪ বিলিয়ন ডলার দিয়েছিল সুইস ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক। তবে তাতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। এই আবহে সোমবার শেয়ারবাজার খোলার আগে সপ্তাহান্তে ইউবিএস-এর সঙ্গে এক টেবিলে বসে এই চুক্তি কার্যকর করতে মধ্যস্থতা করে সুইস সরকারের প্রতিনিধিরা।