মণিপুরের অশান্তি নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সাকেত গোখলে। উত্তর-পূর্ব ভারতের জ্বলন্ত রাজ্যে এক স্বাধীনতা সংগ্রামীর ৮০ বছরের স্ত্রী'কে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে একাধিক রিপোর্টে যে দাবি করা হয়েছে, তা নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে তোপ দাগেন। তৃণমূল নেতা দাবি করেন, বিরোধী রাজ্যের বিচ্ছিন্ন ঘটনা তুলে ধরে বা ভুয়ো খবর ছড়িয়ে মণিপুরের মর্মান্তিক ঘটনাগুলিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি এবং মোদী সরকার। সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, এন বীরেন সিংয়ের আমলে মণিপুরে আদিবাসী এবং মহিলাদের উপর লাগামছাড়া এবং অবর্ণনীয় অত্যাচার হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট শেয়ার করে রবিবার টুইটারে সাকেত বলেন, ‘আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনায় মণিপুরে এক ৮০ বছরের মহিলাকে তাঁর বাড়িতেই জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। মণিপুরে যে গণহত্যা ও জাতিগত হত্যাকাণ্ড চলছে, তা নিয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপ করার পরিবর্তে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে এবং বিরোধী রাজ্যে (পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থানের মতো রাজ্যের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য স্তরের নেতারা ময়দানে নেমেছেন) বিচ্ছিন্ন ঘটনা চিহ্নিত করে পুরো বিষয়টির সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি এবং মোদী সরকার।’
আরও পড়ুন: Manipur incident: ‘নিজের লালসা পূরণে নয়, মেইতেইদের স্বার্থে করেছে’, দাবি মণিপুরের ‘বর্বর’-র মায়ের
বিষয়টা কী হয়েছিল? একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গত ২৮ মে মণিপুরের কাকচিং জেলায় ৮০ বছরের মহিলাকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। যে বিষয়টি প্রথম সামনে এনেছে মণিপুর ইন্টারন্যাশনার ইউথ সেন্টার (এমআইওয়াইসি)। ঘরের মধ্যে থেকে তাঁর দগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়। বাইরে থেকে বন্ধ ছিল দরজার। যে মহিলার স্বামী এস চন্দ্রচূড় সিং ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। তাঁকে সম্মানিত করেছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম। যদিও বিষয়টি নিয়ে মণিপুর সরকার বা পুলিশের তরফে সরকারিভাবে আপাতত কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
উল্লেখ্য, সংখ্যাগুরু মেইতেই এবং সংখ্যালঘু কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে মাসকয়েক ধরে সংঘাত চলছে। গত ৩ মে থেকে হিংসা ছড়িয়েছে, তার জেরে ১৬০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। তারইমধ্যে ৪ মে বর্বরোচিত ঘটনা ঘটেছে। কুকি সম্প্রদায়ের দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানোর অভিযোগ ওঠে মেইতেই সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে। যে ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে।