বিগত বেশ কিছু দিনের লাগামছাড়া বৃষ্টির ফলে ভয়াবহ আকার নিয়েছে বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি। চট্টগ্রাম, সিলেট ও সুনামগঞ্জ এলাকার পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। ব্যাপকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে দেশের বহু অঞ্চলের জনজীবন। বিপুল আর্থিক ক্ষতি ছাড়া বহু মানুষের প্রাণহানি ও নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খবরও আসছে। ২৪ জুন শুক্রবার বাংলাদেশ স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, গত কয়েকদিনের বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ৬৮ জনের। এছাড়া বর্ষার কারণে হওয়া বিভিন্ন সংক্রামক রোগের শিকার হয়েছেন, বহু মানুষ। শেষ ২৪ ঘন্টায় ২৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, জলে ডুবে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, অনেকেই বিষাক্ত সাপের কামড় ও সংক্রামক রোগেও মারা গিয়েছেন।বাংলাদেশ সরকারি সূত্রের খবর অনুযায়ী সিলেট অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। বাংলাদেশ আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য মতে, সিলেট জেলায় বিগত ১০০ বছরেও এত বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা যায়নি। এই জেলায় বর্ষার দুর্যোগের শিকার হয়েছেন প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ। ভয়াবহ বন্যার ফলে স্থগিত রাখতে হয়েছে বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের পরীক্ষা। প্রায় ৫০০-র বেশি স্কুলে পড়াশুনা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার হয়েছে বাংলাদেশের আরেক গুরুত্বপূর্ণ জেলা চট্টগ্রাম। এই জেলার জনজীবন বহুলাংশে বিপর্যস্ত। জলবন্দি হয়েছিলেন খোদ চট্টগ্রাম শহরের মেয়র। জেলার বেশ কিছু অ়ঞ্চল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।সুনামগঞ্জ ও নেত্রকনার বড় অংশ জলের তলায় চলে গিয়েছে। এইসব জেলায় উদ্ধারকার্যে অনেক বেশি সমস্যা হচ্ছে। কারণ এই জেলাগুলির বহু অঞ্চলে যানবাহনের প্রধান মাধ্যম নৌকা। বিদ্যুৎ না থাকায় সমস্যা আরও তীব্র হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন উদ্ধারকার্যে যুক্ত মানুষজন।