পণের দাবিতে মানসিক নির্যাতন। বিয়ের মাত্র ছয় মাসের মধ্যে হায়দরাবাদের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পুলিশের প্রাথমিকভাবে অনুমান, দেবিকা (৩৫) তাঁর হায়দরাবাদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন। দেবিকার স্বামী সতীশও একজন টেকি। ইতিমধ্যে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। দেবিকার পরিবারের দাবি, তাঁকে খুন করা হয়েছে। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে নগদ এবং সোনা দেওয়া হয়েছিল। তারপরও দেবিকার পরিবারের নামে থাকা ফ্ল্যাটটা তাঁর নাম করে দেওয়ার জন্য সতীশ জোরাজুরি করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সতীশ আইআইটি খড়্গপুরের প্রাক্তনী।
আরও পড়ুন -স্কুলে পড়ুয়াদের সম্পূর্ণ মোবাইল নিষেধাজ্ঞা কাম্য নয়! গাইডলাইন দিল্লি হাইকোর্টের
৬ মাস আগে ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিল হায়দরাবাদের বাসিন্দা দেবিকার। পেশায় তিনি একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। গোয়ায় বসেছিল বিয়ের জমকালো আসর। সতীশের সঙ্গে মন দেওয়া-নেওয়া হয় দেবিকার। এর পরিণাম গড়ায় বিয়ে পর্যন্ত। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। এরমধ্যেই আচমকা হায়দরাবাদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল দেবকির দেহ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন দেবিকা। বিয়ের ৬ মাসের মধ্যে কী এমন ঘটল, যার জেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন দেবিকা? এই রহস্য ভেদ করার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। দেবিকার স্বামী সতীশ দাবি করেছেন, আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁর স্ত্রী। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আত্মহত্যা নাকি খুন, সেটাও দেখছেন গোয়েন্দারা। পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারীরা। তবে পুরো ঘটনাকে নিছক আত্মহত্যা বলে দাবি করেছে দেবিকার স্বামী সতীশ।
অন্যদিকে দেবিকার পরিবার জানিয়েছে, আত্মহত্যা নয়, খুন করা হয়েছে তাঁদের মেয়েকে। বিয়ের পর থেকেই দেবিকার পর অমানবিক অত্যাচার করতেন সতীশ। পণের জন্য চাপ দিতেন, নিত্য অশান্তি করতেন সতীশ। এমনকী পণের জন্য দেবকিকে মারধরও করতেন বলে অভিযোগ মৃতার পরিবারের। এই প্রসঙ্গে দেবিকার মা বলেন, 'মেয়ে ফোনের ওপার থেকে কাঁদত। মেয়ে বলেছিল পণের জন্য সতীশ তাকে রাতদিন কথা শোনায়। গায়ে হাত তোলে। একবারও ভাবিনি ওরা আমার মেয়েটাকে মেরে ফেলবে।'
আরও পড়ুন -স্কুলে পড়ুয়াদের সম্পূর্ণ মোবাইল নিষেধাজ্ঞা কাম্য নয়! গাইডলাইন দিল্লি হাইকোর্টের
এর আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশের আগরার বাড়ি থেকে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী মানবের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। মৃত্যুর আগে একটি ভিডিয়ো করে নিজের বক্তব্য রেকর্ড করেন যুবক। সেখানে প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘পুরুষদের জন্যও একটু ভাবুন। নয়তো অভিযোগ চাপানোর জন্য কোনও পুরুষই আর অবশিষ্ট থাকবেন না।’ এরপরে তিনি দাবি করেন, এর আগেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন তিনি। ভিডিয়োর শেষে মানব হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমার মৃত্যুর পরে আমার বাবা-মাকে স্পর্শ করার চেষ্টা করবেন না।’ এরপরেই মানবের বাবা পুত্রবধূর বিরুদ্ধে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।