২০৫০ সালের মধ্যে কার্বনমুক্ত হতে চায় সুইজারল্যান্ড৷ তাই সেখানে পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানির প্রসার বাড়ানোর চেষ্টা চলছে৷ গ্ল্যারাস আল্পসে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২,৫০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত এক বাঁধে সোলার প্যানেল বসিয়েছে এনার্জি কোম্পানি আক্সপো৷ সুইজারল্যান্ডে জ্বালানির সবচেয়ে বড় উৎস জলবিদ্যুৎ৷ মোট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় ৬০ ভাগ আসে সেখান থেকে৷ তাই পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে দেশটি ভালো অবস্থায় আছে৷ সুইজারল্যান্ড যেহেতু তাদের চারটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিতে চাইছে তাই জ্বালানির নতুন উৎসের প্রয়োজন হবে৷ সে কারণে বর্তমানে সৌরশক্তির উপর আরও জোর দেওয়া হচ্ছে৷এনার্জি সায়েন্স সেন্টারের ক্রিস্টিয়ান শাফনার জানান, ‘বায়ুশক্তি, বায়োমাস, সৌরশক্তির মতো পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে আমাদের উন্নতির রেখাটা একেবারে খাড়া৷ কিন্তু তারপরও প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় আমরা পিছিয়ে আছি৷'বর্তমানে মোট জ্বালানির মাত্র পাঁচ শতাংশ আসছে সৌরশক্তি থেকে৷ শাফনার বলেন, ‘আমরা যদি সত্যিই ২০৫০ সালের মধ্যে সুইজারল্যান্ডকে কার্বনমুক্ত করতে চায়, তাহলে ঘর গরম রাখার জন্য তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা ভবনগুলো একটা বড় চ্যালেঞ্জ৷ অন্যদিকে আছে পেট্রল, ডিজেল ব্যবহার করা পরিবহন খাত৷ আমাদের এসব জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, যা আমাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ৷' এক্ষেত্রে সৌরশক্তি একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে৷ তবে এর চেয়েও দারুন এক সম্ভাবনা আছে৷ যেমন সিন্থেটিক ফুয়েল, যেটা ভবিষ্যতে কেরোসিনের বিকল্প হতে পারে৷ শাফনার জানান, ‘এখন সীমিত আকারে সিন্থেটিক ফুয়েল উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে৷ ভবিষ্যতে কি আরও বড় আকারে উৎপাদনে যাওয়া যাবে, প্রযুক্তি ও আর্থিক বিবেচনায় সেটা কি সম্ভব হবে, এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় এখনও আসেনি৷'