গত কয়েকদিনে অন্তত ১০০টি শূকরের মৃত্যু ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে। গত ২৭ জুলাই থেকে একের পর এক শূকরের মৃত্যু এলাকায়। মনে করা হচ্ছে সোয়াইন ফিভারের হানায় মৃত্যু হয়েছে ওই পশুগুলির। পশু পালন দফতর ইতিমধ্যেই এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে। শনিবার সরকারি সূত্রে এমনটাই খবর।
সূত্রের খবর, কিন্তু কেন শূকরগুলির মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত করতে আক্রান্ত পশুদের থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলি ভূপালে ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অফ হাই সিকিউরিটি অ্যানিমাল ডিজিজে পাঠানো হয়েছে। কলকাতায় রিজিওনাল ডিজিজ ডায়াগনস্টিক ল্য়াবেরটরিতেও পাঠানো হয়েছে।
রাজ্যস্তরের পশুপালন দফতরের ডিরেক্টর শশীপ্রকাশ ঝা জানিয়েছেন, কেবলমাত্র রাঁচি থেকেই শূকর মৃত্যুর খবর মিলেছে। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা মেনে চলার ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যাপারেও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি অসুস্থ পশুগুলিকে আলাদা রাখার ব্যাপারেও বলা হয়েছে। সরকারি পশু খামারেও অন্তত ৭০টি শূকর আক্রান্ত হয়েছে।
ইনস্টিটিউট অফ অ্যানিমাল হেলথ অ্যান্ড প্রোডাকশনের ডিরেক্টর বিপিন বিহারী জানিয়েছেন, এর আগে ঝাড়খণ্ডে এমন রোগের কথা জানা যায়নি। আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লুয়ের মতোই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। আচমকাই মারা যাচ্ছে শূকরগুলি। প্রচণ্ড জ্বর আসছে। খাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে। পরে মারা যাচ্ছে আচমকা।