সরকারের ইলেক্টোরাল বন্ড স্কিমের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলা নিয়ে এবার পরবর্তী শুনানির দিন ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে ১১ এপ্রিলের শুনানি হবে সেই সংক্রান্ত বিষয়ে, যেখানে স্থির করা হবে, এই মামলাগুলি আলাদা সাংবিধানিক বেঞ্চের আওতায় পাঠানো হবে কি না। মূলত এই মামলাগুলিতে ইলেক্টোরাল বন্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, যে বন্ডে রাজনৈতিক দলগুলিতে বেনামি অর্থ প্রদান করার অনুমতি রয়েছে। আর সেই ইস্যুকে নিয়েই প্রশ্ন তুলছে এই মামলাগুলি।
সুপ্রিম কোর্টে আজকের এই রান্নার শুনানি হয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পিএস নরসিংহর বেঞ্চে। এর আগেও এই মামলা প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিংহের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়। সেবার বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে। এরপর মার্চ মাসে সেই মামলার শুনানি হয়। মঙ্গলবারের এই শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে আগামী ১১ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে, যেখানে স্থির করা হবে মামলাগুলি পৃথক কোনও সাংবিধানিক বেঞ্চে যাবে কি না। মঙ্গলবারের শুনানিতে, কেন্দ্রের তরফে একটি চিঠি পেশ করা হয়, সেখানে পাল্টা হলফনামা দায়ের করার জন্য সময় চেয়ে নেওয়ার আর্জি জানানো হয় কোর্টকে। এদিকে, আজকে কোর্টে আবেদনকারী বেঞ্চের তরফে আইনজীবী সাদান ফারাসত কোর্টে শুনানিতে পৃথক সাংবিধানিক বেঞ্চে এই মামলার শুনানির জন্য আর্জি জানান। ( খুনের পর মহিলার হৃদপিণ্ড বের করে আলু দিয়ে তরকারি রান্না ব্যক্তির! এরপর যা ঘটল)
এদিকে, আইনজীবী সাদান ফারাসতের আর্জিকে সমর্থন জানান দুষ্মন্ত দাভে। তিনিও এই মামলার শুনানি এপ্রিলে করার পক্ষে সওয়াল করেন। প্রসঙ্গত, যে বিষয়টি নিয়ে এই গোটা মামলা, সেটি হল ইলেকটোরাল বন্ড। ২০১৮ সালে সরকার এই ইলেক্টোরাল বন্ডের স্কিম আনে। তারপর থেকে বাধা হীনভাবে এই বন্ড বিক্রি করা হচ্ছে। এর আগে এই বন্ড বিক্রির ওপর স্থগিতাদেশ জারি করতে চায়নি সুপ্রিম কোর্ট। এদিকে, নির্বাচন কমিশনের তরফে শীর্ষ আদালতকে জানানো হয়েছিল, রাজনৈতিক দলগুলির হাতে নগদের অভাব থাকায় ইলেক্টোরাল বন্ড বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কমিশনের দাবি ছিল, এই বন্ড ঘিরে কোনও অস্বচ্ছ্বতা নেই।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক