'এতটা স্পর্শকাতর হওয়ার কী আছে?' প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে শশী থারুরের বিতর্কিত মন্তব্যে দায়ের হওয়া মানহানির মামলায় জানাল সুপ্রিম কোর্ট।শুক্রবার শীর্ষ আদালতে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের করা আবেদনের শুনানি চলছিল। দিল্লি হাইকোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা খারিজ করতে অস্বীকার করায় তিনি এই আবেদনের আশ্রয় নেন। বিজেপি নেতা রাজীব বব্বরের পক্ষের আইনজীবীর অনুরোধে আদালত আপাতত মামলাটির শুনানি স্থগিত রেখেছে।
শুক্রবার বিচারপতি এমএম সুন্দ্রেশ ও এন কোটিশ্বর সিংয়ের বেঞ্চ বিজেপি নেতা রাজীব বব্বরকে উদ্দেশ করে বলেন, 'এসব মামলার কি আর দরকার আছে? সবাই যদি এত স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে, তাহলে প্রশাসক, রাজনীতিক ও বিচারপতিরা তো একসঙ্গে মোটা চামড়ার মানুষ হয়ে উঠবেন।' কিন্তু সিনিয়র অ্যাডভোকেট পিঙ্কি আনন্দ জানান, যেভাবেই হোক বিষয়টির শুনানির প্রয়োজন। রাজীব বব্বরের পক্ষের আইনজীবীর অনুরোধে আদালত মামলাটি অন্য কোনও দিন শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করেছে। আপাতত শশী থারুরের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মানহানির মামলার শুনানি স্থগিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন-ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নাতি! আদালতে অঝোরে কান্না রেভান্নার
এই প্রথম নয়, এর আগেও সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। ২০২৩ সালে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি মহাদেবনের বেঞ্চ শশী থারুরের আবেদনের ভিত্তিতে মামলার যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত রাখে। তখনও আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, এই মন্তব্যটিকে রূপক বা উপমা হিসেবেই দেখা যেতে পারে এবং এর মাধ্যমে আসলে প্রধানমন্ত্রীর অপ্রতিরোধ্যতা বোঝানো হয়েছিল। তাহলে আপত্তি তোলার কী আছে? আদালত বলেছিল, 'এটা মূলত রূপক বা অলংকার– যার মাধ্যমে কোনও বাস্তব ঘটনার সঙ্গে সম্পর্ক না রেখেও শব্দ বা বাক্য প্রয়োগ করা হয়। এমন মন্তব্য নিয়ে এত প্রতিক্রিয়া কেন?' এর আগে দিল্লি হাইকোর্ট শশী থারুরের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা খারিজ করতে অস্বীকার করেছিল।
আরও পড়ুন-ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নাতি! আদালতে অঝোরে কান্না রেভান্নার
বিষয়টি ঘিরে বিতর্কের সূচনা হয় ২০১৮ সালে বেঙ্গালুরু লিট্যারারি ফেস্টিভ্যালে। যখন একটি বক্তব্যে শশী থারুর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তুলনা করেন শিবলিঙ্গে বসা এক বিছের সঙ্গে। তাঁর কথায়, ২০১২ সালে এক আরএসএস নেতার মন্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেছিলেন। শশী থারুর পরে এক্স বার্তায় জানান, এটি তাঁর নিজের বক্তব্য নয়, বরং ‘দ্য কারাভান’ পত্রিকায় সাংবাদিক বিনোদ জোসের সঙ্গে গর্ধন ঝাড়াফিয়ার কথোপকথনে উঠে আসা একটি মন্তব্য, যা ২০১২ সাল থেকেই সর্বজনবিদিত। তিনি শুধুমাত্র একটি উদ্ধৃতি ব্যবহার করেছিলেন বলেও দাবি করেন।