ইউক্রেনে মৃত্যু হল আরও এক ভারতীয় পড়ুয়ার। স্ট্রোক হয়ে মৃত্যু ২২ বছরের চন্দন জিন্দলের। যিনি আদতে পঞ্জাবের বাসিন্দা ছিলেন। দেহ ফিরিয়ে আনার জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, পঞ্জাবের বাসিন্দা চন্দন ভিনিতসিয়া ন্যাশনাল পাইরোগভ মেমোরিয়াল মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করতেন। স্ট্রোক হওয়ায় চন্দনকে ভিনিতসিয়ায় একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। রাখা হয়েছিল আইসিইউতে। বুধবার সেখানে মৃত্যু হয়েছে ২২ বছরের ভারতীয় পড়ুয়ার। সেই খবর পঞ্জাবের বাড়িতে পৌঁছানোর শোকে ভেঙে পড়েছে চন্দনের পরিবার। দেহ ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁর বাবা।
পরে সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, ‘ভিনিতসিয়ায় পড়াশোনা করছিলেন চন্দন জিন্দল। আজ তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। তবে স্বাভাবিক কারণে মৃত্যু হয়েছে। দীর্ঘদিন হাসপাতালে ছিলেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরা ইউক্রেনে ছিলেন। আমরা শোকাহত।’
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ইউক্রেনে ‘যুদ্ধ’ শুরুর পর মঙ্গলবার প্রথম ভারতীয় মারা গিয়েছিলেন। ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে মৃত্যু হয়েছিল কর্নাটকের ছেলে নবীন শেখারাপ্পার। মঙ্গলবার দুপুরে তিনটে নাগাদ একটি টুইটবার্তায় ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আমরা নিশ্চিত করতে পারছি যে আজ সকালে খারকিভে গোলাবর্ষণে এক ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। মৃত পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে বিদেশ মন্ত্রক। পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’ সঙ্গে তিনি বলেছেন, 'খারকিভ-সহ যে সব জায়গায় সংঘাত হচ্ছে, সেখানকার ভারতীয়দেের দ্রুত সুরক্ষিতভাবে যেতে দেওয়ার দাবি আরও জোরালোভাবে জানানোর জন্য রাশিয়া এবং ইউক্রেনের দূতকে তলব করেছেন বিদেশসচিব। রাশিয়া এবং ইউক্রেনে আমাদের রাষ্ট্রদূতরাও একই পদক্ষেপ করেছেন।' নবীনের বাবার সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।