হিন্দু এবং ভারতীয়দের ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিলেন ভারতের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তিনি বলেন, বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য রয়েছে এবং বৈচিত্র্য ঐক্যের ফল। আরএসএসের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন তিনি। এমনই এক অনুষ্ঠানে ভাগবত বলেন, 'কিছু মানুষ জানেন কিন্তু নিজেদের হিন্দু বলে মনে করেন না, আবার কিছু মানুষ জানেন না। আমাদের পুরো সমাজকে সংগঠিত করতে হবে। রাবণকে ভয় পেত গোটা বিশ্ব। রাম না থাকলে কী হত। পরবর্তীতে শিবাজি না থাকলে কী হত? তাই অন্যকে ঠিকাদারি দেওয়া ঠিক নয়। দেশ আমাদের সবার দায়িত্ব।' (আরও পড়ুন: জ্বালানি চুক্তি নিয়ে রাশিয়ার সাথে কথা US-র, 'ফেল করা' ট্রাম্পের দ্বিচারিতা সামনে)
আরও পড়ুন: মোদীকে 'অত্যন্ত দুর্দান্ত মানুষ' আখ্যা ট্রাম্পের, শুল্ক আরোপের আগে বললেন কী?
বিজ্ঞান ভবনে আয়োজিত '১০০ ইয়ার্স অফ আরএসএস জার্নি: নিউ হরাইজনস' শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন মোহন ভাগবত। তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানের মূল বিষয়বস্তু হল ভারত মাতার প্রতি নিষ্ঠা এবং পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য যা সকলের কাছে সাধারণ। আমাদের সবার ডিএনএ একই আছে। সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করাই আমাদের সংস্কৃতি। আমরা ঐক্যের জন্য অভিন্নতায় বিশ্বাস করি না, বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য রয়েছে। বৈচিত্র্য ঐক্যের ফল।' (আরও পড়ুন: ৭টার বেশি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়ে থাকতে পারে,ভারত-পাক সংঘাত নিয়ে নয়া দাবি ট্রাম্পের)
আরও পড়ুন: 'কালকে কল ব্যাক করুন আমাকে', মোদীর ফোন না ধরার খবর প্রকাশের পর কী বললেন ট্রাম্প
আরএসএস প্রধান বলেন, স্বাধীনতার ৭৫ বছরেও ভারত কাঙ্ক্ষিত মর্যাদা অর্জন করতে পারেনি দেশ। তিনি বলেন, 'আরএসএসের লক্ষ্য দেশকে বিশ্বগুরু হিসাবে গড়ে তোলা এবং এখন সময় এসেছে বিশ্বে ভারতের অবদান রাখার।' দেশের উন্নয়নের জন্য সামাজিক পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। ভাগবত বলেন, 'দেশকে উন্নত করতে হলে কাজটা একজনের হাতে ছেড়ে দিলে চলবে না। প্রত্যেকের নিজস্ব ভূমিকা থাকবে।' তিনি আরও বলেন, নেতা, সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা হচ্ছে এই প্রক্রিয়ায় সহায়তা করা। তাদের মূল লক্ষ্য হবে সমাজের রূপান্তর এবং ধীরে ধীরে অগ্রগতি। তিনি বলেন, প্রাচীনকাল থেকেই ভারতীয়রা কখনও মানুষে মানুষে বৈষম্য করেনি কারণ তারা বুঝতে পেরেছিল যে সমস্ত এবং বিশ্ব একই দেবত্বের দ্বারা আবদ্ধ। তিনি বলেন, বহিরাগতরা ভারতীয়দের বোঝাতে হিন্দু শব্দটি ব্যবহার করে। তিনি বলেন, হিন্দুরা নিজের পথ অনুসরণ এবং অন্যকে সম্মান করায় বিশ্বাস করে। তারা কোনও ইস্যুতে মারামারি নয়, বরং তারা সমন্বয়ে বিশ্বাসী।