পহেলগাঁওতে জঙ্গি হানা ঘিরে উঠে আসছে একাধিক হাড়হিম করা গোয়েন্দা রিপোর্ট। উঠছে সইফুল্লা কসুরির নাম। জানা যাচ্ছে উপত্যকায় এই জঙ্গি তাবড় লস্কর কমান্ডার হিসাবে পরিচিত। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার দায় ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছে ‘দ্য রেসিসট্যান্স ফ্রন্ট’। এই সংগঠন লস্করের ছায়ায় বেড়ে উঠেছে ভূস্বর্গ কাশ্মীরে। আর এই সইফুল্লা হল, লস্করের তাবড় কমান্ডার।
গোয়েন্দা সূত্র উল্লেখ করে ‘ইন্ডিয়া টুডে’র রিপোর্ট বলছে, পহেলগাঁও হামলায় ৫ থেকে ৬ জন জঙ্গি ছিল। ইতিমধ্যেই একজন জঙ্গির ছবি প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। অন্যদিকে, কাশ্মীর জুড়ে চিরুনি তল্লাশি চলছে জঙ্গিদের খোঁজে। জানা যাচ্ছে, যে পাঁচ থেকে ছয় জঙ্গি এই রক্ত-তাণ্ডব চালিয়েছে নিরীহ পর্যটকদের ওপর, তাদের মধ্যে বেশিরভাগ জঙ্গিই সীমান্ত পার থেকে এসেছে। জানা যাচ্ছেস হাফিজ সইদ ঘনিষ্ঠ জঙ্গি সইফুল্লা কসুরি ভারতের বুকে এই হামলার ছক কষেছে। এছাড়াও তার সঙ্গে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর থেকে আরও জুই জঙ্গি যোগ দিয়েছিল বলে খবর গোয়েন্দা সূত্রে।
বেশ কিছু মিডিয়া রিপোর্ট দাবি করছে, পহেলগাঁওয়ের যে এলাকায় এই হামলা হয়েছে, সেখানে এপ্রিলের শুরু থেকেই রেইকি করে জঙ্গিরা। ‘লাইভ হিন্দুস্তান’র রিপোর্ট বলছে, মনে করা হচ্ছে, এই হামলার নেপথ্যে পিওকে থেকে জঙ্গিরা এসেছিল। রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ভূস্বর্গে এখনও ৭০র মতো বিদেশি জঙ্গি রয়েছে। তবে অনুপ্রবেশ রোধে একাধিক তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। তা সত্ত্বেও বহু জঙ্গি ভারতের সীমানায় ঢুকে গা ঢাকা দিয়েছে বলে খবর।
রিপোর্ট বলছে, এই হত্যাকাণ্ড চালাতে জঙ্গিরা একে ৪৭র সাহায্য নিয়েছিল। বহু আহতদের পরিজনরা বলছেন, তাঁদের আপনদের দূর থেকে টার্গেট করে হত্যা করা হয়েছে। অনেকে বলছেন জঙ্গিদের হাতে ছিল অটোমেটেড বন্দুক। প্রশ্ন উঠছে, কাশ্মীরের বুকে এই অস্ত্র জঙ্গিদের হাতে কীভাবে আসছে? কতটা নিরাপদ কাশ্মীর? প্রশ্ন রয়েছে সইফুল্লা কসুরিকে নিয়েও। এই সইফুল্লা কসুরি এখন কোথায়? সব মিলিয়ে পহেলগাঁওয়ের ঘটনা নানান প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছে।