কৃষকদের কাছ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যশস্য কিনে 'রেকর্ড' গড়া হয়েছে। এমনই দাবি করল কেন্দ্র। চলতি মরশুমে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ৪১ কোটি টন গম কিনেছে কেন্দ্র। যা অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি। সেকারণে এবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে কেন্দ্রের ভাঁড়ারে। সেক্ষত্রে গণবণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে আরও বেশি খাবার দেবে কেন্দ্র। যে পরিমাণে খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে কেন্দ্রের ভাঁড়ারে, তাতে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন ও প্রধানমন্ত্রী কল্যাণ অন্ন যোজনার অধীনে থাকা উপভোক্তাদের প্রতি মাসে মাথাপিছু পাঁচ কেরে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দিয়েও প্রয়োজনের তুলনায় আরও বেশি পরিমাণে শস্য সঞ্চয় করতে পারবে সরকার।মে মাসে সরকারের ভাঁড়ারে মোট ৮৩ কোটি টন শস্য (গম ও ধান) মজুত ছিল। যা শস্য সংরক্ষণের ন্যূনতম সীমার চেয়ে ১১ গুণ বেশি। সরকারি পরিসংখ্যান অনুয়ায়ী, এর মধ্যে আরও ৩০ কোটি টন চাল ও ৫২ কোটি টন গম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সেক্ষেত্রে ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়াকে খাদ্যশস্য মজুত করার জন্য অতিরিক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উৎসাহিত করেছে খাদ্য সংরক্ষণ সংস্থাগুলো। এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন, ‘ সরকার খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছে। সেজন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে গরিবদের পাশাপাশি সেনা বাহিনী ও সংশোধনাগারগুলোয় এই খাদ্যশস্য বিতরণের বরাত দিয়েছে।’ তিনি আরও জানান, সাধারণত কেনার খরচের চেয়ে কম দামে এই শস্য খোলা বাজারে বিক্রি করতে শুরু করেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই ব্যবসায়ীদের ৩ লক্ষ টন খাদ্যশস্য বিক্রি করেছে কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, সরকারি সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী ও সেনা বাহিনীর মতো প্রতিষ্ঠানকে অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। এই প্রকল্পটি নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। ওই আধিকারিক আরও বলেন, ‘শস্য মজুতের জন্য গুদামঘরগুলি পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে পিএমজিকেএ।’ তিনি জানান, গত বছরের তুলনায় এবছর ১৩ শতাংশ বেশি তেল শস্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এমনকী, শস্যের অত্যধিক উৎপাদনের ফলে দেশে তিল ও ডালের মতো অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। চলতি মরশুমে ৪১ কোটি টন গম সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩.২ কোটি টন পঞ্জাবের কৃষকদের কাছ থেকে কেনা হয়েছিল। মধ্যপ্রদেশ থেকে ১২.৮ কোটি টন ও হরিয়ানার কৃষকদের কাছ থেকে ৮.৪ কোটি টন শস্য কেনে কেন্দ্র। অবশ্য কমড্রেডের এক ব্যবসায়ী অভিষেক আগরওয়াল বলেন, ‘ভারতে উৎপাদিত ন্যূনতম ৩৮ ডলারে বিক্রি করতে হবে, যা বিশ্বব্যাপী বাজারের চেয়ে বেশি।’