ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশ নিয়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন রাহুল গান্ধী। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, তিনি দিগ্বিজয়ের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন না। আজ রাহুল গান্ধী বলেন, ‘আমরা দিগ্বিজয় সিংয়ের ব্যক্তিগত মতামতের প্রশংসা করি না। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি দলের সঙ্গে মেলে না। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই যে সশস্ত্র বাহিনী তাদের কাজ খুবই ভালো ভাবে করে। এবং তাদের এর জন্য কোনও প্রমাণ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।’ রাহুল গান্ধী আরও বলেন, 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থান প্রথম থেকেই স্পষ্ট। আমাদের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে।' (আরও পড়ুন: মোদীর ওপর BBC-র ডকুমেন্টারি নিয়ে প্রশ্ন পাক সাংবাদিকের, কী বলল আমেরিকা?)
এদিকে বিতর্কে জল ঢালতে আজ কিছুটা সুর বদল করেছিলেন দিগ্বিজয়। তিনি বলেন, 'ভারতীয় সেনার জন্য আমার অপরিসীম সম্মান ও শ্রদ্ধা রয়েছে।' এদিকে দিগ্বিজয় ইস্যুতে আজ জয়রাম রমেশকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কেন্দ্রকে পালটা তোপ দেগে বলেন, 'আমরা এই নিয়ে যাবতীয় প্রশ্নের জবাব দিয়েছি। এবার প্রধানমন্ত্রীকে গিয়ে প্রশ্ন করুন।'
এর আগে গতকাল জম্মুতে দিগ্বিজয় বলেছিলেন, 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের বিষয়ে কথা বলে (নরেন্দ্র মোদী সরকার)। (দাবি করে যে) আমরা এত লোক (জঙ্গি) মেরেছি। কিন্তু কোনও প্রমাণ নেই। স্রেফ মিথ্যার আশ্রয়ে এরা (বিজেপি) রাজত্ব করছে। আপনাদের বলতে চাই যে এই দেশ সকলের।' পুলওয়ামা হামলা নিয়েও মুখ খোলেন দিগ্বিজয়। বলেন, 'পুলওয়ামায় হামলা চলল। আমাদের ৪১ জন জওয়ান শহিদ হলেন। কেন তাঁদের শহিদ হতে হল? সিআরপিএফের অধিকর্তা সতর্ক করেছিলেন যে পুলওয়ামা খুবই সংবেদনশীল এলাকা। তাই বিমানে করে শ্রীনগর থেকে দিল্লিতে জওয়ানদের পাঠানো হোক। কিন্তু মোদীজি তা শোনেননি। কেন সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিলেন? এলাকায় প্রতিটি গাড়ি চেক করা হয় । কেন ওই নির্দিষ্ট দিনে স্করপিও গাড়িটি চেক করা হয়নি? একটি গাড়ি ভুল দিক থেকে আসে । কেন তা চেক করা হয়নি? এখনও পর্যন্ত, এই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্য সংসদে দেওয়া হয়নি। মানুষ এই সম্পর্কে সচেতন নয়।'
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে উরির সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হামলায় ১৮ জন জওয়ান শহিদ হন। সেই ঘটনার পর ভারতীয় সেনার তরফে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিকাল স্ট্রাইক চালানো হয়। এদিকে ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় ৪০ জন জওয়ান শহিদ হন। পরে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডের বালাকোটে জইশের তিনটি ট্রেনিং ক্যাম্পে অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনার ১২টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জইশের ট্রেনিং ক্যাম্প। কয়েকশো জঙ্গিকে খতম করা হয়েছিল সেই অভিযানে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক