তামিলনাড়ুতে সদ্য ঘটে যাওয়া এক ঘটনার জেরে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। সেখানে আচমকাই রাস্তায় নিজের স্ত্রীকে ব্লেড দিয়ে আক্রমণ করেন এক সহকারী অধ্যাপক। জানা যায়, ওই সহকারী অধ্যাপক ভিক্ষুকের বেশে গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন সেখানে। আর স্ত্রীকে দেখেই তিনি হামলা চালান। ঘটনার জেরে তাঁর স্ত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, চেন্নাইয়ের সরকারি কলেজে কর্মরত এম কুমারস্বামী পেশায় সহকারী অধ্যাপক। ৫৬ বছর বয়সী ওই অধ্যাপকের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর ১৮ বছরের বয়সের ফারাকের জেরে এই হত্যা বলে অনুমান পুলিশের। অধ্যাপক কুমারস্বামীর সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর ১৮ বছরের বয়সের ফারাক। স্ত্রী কে জেয়েভবনী ৩৮ বছর বয়সী। পুলিশের অনুমান, স্ত্রীরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে এমন সন্দেহ থেকেই স্ত্রীকে খুন করতে চেয়েছেন অভিযুক্ত। পেশায় ইতিহাসের অধ্যাপক কেন এমন পদক্ষেপ নিলেন তা নিয়ে রয়েছে বহু প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, কে জয়াবনী এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যাপক। সদ্য তিনি কলেজ থেকে ফেরার সময় তাঁর স্বামী ছদ্মবেশে তাঁর ওপর হামলা করেন। চেন্নাইয়েক ইগমোর বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর জয়াবনীর ওপর হামলা করেন কুমারস্বামী। জানা যায়, প্রথমেই অধ্যাপক তাঁর স্ত্রীর মুখের ওপর হামলা করেন। হামলা হচ্ছে দেখেই মুখ হাত দিয়ে চাপা দেন জয়বনী। তখনই দেখেন তিনি যে, সেই হামলাবাজ আর কেউ নন, খোজ তাঁর স্বামী। এরপরই ঘটনাস্থল থেকে কুমারস্বামী পালিয়ে যান বলে জানা যান। ততক্ষণে এলাকায় ভিড় জড়ো হতে শুরু করে। ('২০০০ কোটি টাকার ডিল', শিবসেনার দলীয় নাম ও প্রতীক ইস্যুতে বিস্ফোরক অভিযোগ রাউতের)