'জো হামে ছেড়েগা...!' অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ফের পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার জৈন সন্ত আচার্য শ্রী ১০৮ বিদ্যানন্দ জি মহারাজের শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধর্ম চক্রবর্তী উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। বিনয়ের সঙ্গে এই সম্মান গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, তিনি নিজেকে এর জন্য উপযুক্ত মনে করেন না। কিন্তু ভারতের সংস্কৃতি সাধুদের কাছ থেকে যা পাওয়া যায়, তা প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন-মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ! ভারতের 'আইসিস' প্রধান সাকিবের মৃত্যু, কে এই জঙ্গি নেতা?
এদিন দিল্লির বিজ্ঞান ভবনের অনুষ্ঠান থেকে ফের একবার পাকিস্তানকে কড়া দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ইসলামাবাদের নাম না করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, যে আমাদের উত্যক্ত করবে...এই কথার বলার সঙ্গে সঙ্গেই করতালিতে ফেটে পড়ে গোটা বিজ্ঞান ভবন। উপস্থিত অতিথিরা 'মোদী মোদী' স্লোগান দিতে শুরু করেন। এরপরই মোদী বলেন, আমি বাক্যের অর্ধেকও বলিনি, আপনারা তা সম্পন্ন করে দিয়েছেন।আমি অহিংসার অনুসরণকারীদের মধ্যে একজন... আমি যা বলতে চাইছি তা হল, কথায় না বললেও, আপানারা অপারেশন সিদুঁরকে আশীর্বাদ করেছিলেন।'
প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় সভ্যতার প্রাচীন ও স্থায়ী মূল্যবোধের প্রশংসা করে দেশের পরিচয় গঠনের জন্য সাধু-সন্তদের কৃতিত্ব দেন। তিনি বলেন, 'আমাদের ভারত বিশ্বের প্রাচীনতম জীবন্ত সভ্যতা, আমরা হাজার হাজার বছর ধরে অমর রয়েছি। কারণ আমাদের চিন্তাভাবনা অমর, আমাদের দর্শন অমর।'তিনি আরও বলেন, এনডিএ সরকার কল্যাণমূলক নীতির জন্য আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্বদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছে। তাঁর কথায়, 'প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, জল জীবন মিশন, আয়ুষ্মান ভারত যোজনা ... এগুলি সামাজিক স্তরের সেবার প্রতীক।' তিনি মাতৃভাষার, প্রাচীন ভাষার প্রচারে সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।,প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'প্রাচীন পাণ্ডুলিপিগুলিকে ডিজিটালাইজ করার লক্ষ্য রয়েছে আমাদের। আর এর মধ্যে জৈন ধর্মীয় গ্রন্থ এবং আচার্যদের সঙ্গে সম্পর্কিত পাণ্ডুলিপি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।'
আরও পড়ুন-মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ! ভারতের 'আইসিস' প্রধান সাকিবের মৃত্যু, কে এই জঙ্গি নেতা?
কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক এবং দিল্লির ভগবান মহাবীর অহিংসা ভারতী ট্রাস্টের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, যার লক্ষ্য শ্রদ্ধেয় জৈন নেতার আধ্যাত্মিক ও পাণ্ডিত্যপূর্ণ উত্তরাধিকারকে স্মরণ করা। এই তিথির আধ্যাত্মিক তাৎপর্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী মোদী উল্লেখ করেন যে, ১৯৮৭ সালের ২৮ জুন আচার্য বিদ্যানন্দ জি আচার্য উপাধি লাভ করেছিলেন। এটি কেবল একটি সম্মান ছিল না বরং জৈন সংস্কৃতিকে সংযম ও করুণার সাথে সংযুক্ত করার একটি পবিত্র ধারা ছিল। প্রধানমন্ত্রী আচার্যের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এই উদযাপনকে একটি সুশৃঙ্খল, তপস্বী জীবনের স্মারক হিসেবে বর্ণনা করেন।