উন্মত্ত জনতার দ্বারা সংঘটিত অপরাধ হলে ওই ভিড়ের মধ্যে থাকা সকলকেই দোষী সাব্যস্ত করা হবে। সক্রিয়ভাবে সে অপরাধে লিপ্ত ছিল কি না তা দেখার কোনও দরকার নেই। সম্প্রতি ১৯৬৪ সালের একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। ১৯৬৪ সালের ‘মাসালটি বনাম উত্তরপ্রদেশ সরকার’ মামলার প্রসঙ্গে এই কথা বলে সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কোনও ব্যক্তিকে গণপ্রহার, গণধর্ষণ বা উন্মত্ত জনতার অংশ হয়ে কোনও অপরাধ করলে সবাইকেই দোষী সাব্যস্ত করা হবে। এর জন্য সক্রিয়ভাবে সে অপরাধটি করেছে কি না তা দেখার কোনও দরকার নেই বলে জানায় আদালত।
(আরও পড়ুন: শীতে মর্নিং ওয়াক ভালো না খারাপ? জেনে নিন আসল সত্যিটা)
১৯৬৪ সালের মামলাটির প্রসঙ্গ তোলা ছাড়াও সংবিধানের ১৪৯ ধারাটির কথাও বলেন মাননীয় বিচারপতিরা। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ওই ধারায় বলা হয়েছে উন্মত্ত জনতা কোনও অপরাধ করলে জনতার ভিড়ে থাকা সকলকেই দোষী সাব্যস্ত করা হবে। সক্রিয়ভাবে সবাই অপরাধ না করলেও অপরাধে মদত দেওয়া বা অপরাধটি মেনে নেওয়ার কারণেই সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে। ওই ধারা মোতাবেক, যেকজন ব্যক্তি ওই সময় সেখানে উপস্থিত, তারা প্রত্যেকেই প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে অপরাধের সঙ্গে জড়িত।
(আরও পড়ুন: বয়স মাফিক পাল্টায় ভাতের মাপও! কোন বয়সের কতটা ভাত খাবেন?)
বি আর গাভাই, বি ভি নাগরত্ন ও প্রশান্তকুমার মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ ১৯৬৪ সালের মামলার রায়ের উল্লেখ করে। ওই মামলার রায়টি দেখিয়ে বলা হয়, এতেও সংবিধানের ১৪৯ ধারাটিকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। উন্মত্ত জনতার ভিড়ে থাকার কারণেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল উপস্থিত সবাইকে। ওই মামলার রায়ে কী বোঝাতে চাওয়া হয়েছিল, তাও এদিন স্পষ্ট করে দেন বিচারপতি। বলা হয়, ওই রায়ের উদ্দেশ্যই ছিল প্রত্যক্ষভাবে অপরাধ না করলেও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার কারণেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছে উপস্থিত সকলে।
গত ১২ অক্টোবর আরেকটি মামলাতেও একই রায় জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তাতেও গোষ্ঠী অপরাধের নিরিখে সকলেই দোষী সাব্যস্ত হয়। এবারেও সেই বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে দিল শীর্ষ আদালত। সংবিধানের ১৪৯ ধারার উল্লেখ করে আদালত জানায়, অপরাধের দায়ের দিকটি। অপরাধ না করলেও তার দায় এড়াতে পারে না সেখানে উপস্থিত সকলে।