এবার একেবারে সংসদের মধ্য়ে দর্শক আসন থেকে লাফিয়ে পড়লেন দুই যুবক। চারজনকে আটক করা হয়েছে এই ঘটনায়। কিন্তু ওই চারজনের পরিচয়টা ঠিক কী? কেন তারা সংসদে এই কাণ্ড ঘটালেন?
সূত্রের খবর, সংসদের মধ্য়ে ছিলেন দুজন। আর সংসদের বাইরে ছিলেন আরও দুজন। সব মিলিয়ে চারজন এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ। যে দুজনকে সংসদের বাইরে থেকে আটক করা হয়েছে তারা হলেন নীলম ও অমল সিন্ডে। নীলমের বয়স ৪২ বছর। আর অমলের ২৫ বছর বয়স। হরিয়ানার হিসার জেলা থেকে সংসদ চত্বরে এসেছিলেন নীলম। আর মহারাষ্ট্রের লাতুর জেলা থেকে এসেছিলেন ওই যুবক। ট্রান্সপোর্ট ভবনের সামনে থেকে পুলিশ তাদের আটক করে।
আর সংসদের মধ্য়ে যারা লাফিয়ে পড়েছিলেন তারা হলেন সাগর শর্মা ও মনোরানহান ডি( ৩৫)। তিনি কর্ণাটকের মাইসুরুর বাসিন্দা। বিজেপি এমপি প্রতাপ সিনহার অফিস থেকে ওই পাস দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। আর সেই পাস নিয়ে সংসদের ভেতরে ঢুকে এই কাণ্ড ঘটালেন দুজন।
দর্শকাসন থেকে লাফিয়ে পড়েন তারা। তাদের হাতে ছিল স্মোক ক্যানিস্টার। সেখান থেকে হলুদ ধোঁয়া বের হচ্ছিল। জুতোর মধ্য়ে ওই স্মোক ক্য়ানিস্টার ছিল বলে অভিযোগ। তবে কি কেবলমাত্র দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই তারা এই কাণ্ড ঘটালেন? তারা সংসদের মধ্য়ে স্লোগানও দিচ্ছিলেন। নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের ধরে ফেলেন। এদিকে ঘটনার সময় কংগ্রেসে এমপি রাহুল গান্ধী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী ঘটনাস্থলে ছিলেন।
দুপুর ১টা বেজে ০১ মিনিট। বক্তব্য রাখছিলেন সাংসদ খগেন মুর্মু। এমন সময় কালার স্মোক ক্যানস্টার নিয়ে লাফিয়ে পড়েন দুজন। এদিকে বিজেপি এমপির অফিস থেকে তাদের পাস দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, যে বিজেপি এমপি তাদের কেন পাস দিলেন? এক্ষেত্রে ওই বিজেপি এমপিকে বহিষ্কার করা হবে কি না সেটা জানাতে হবে।
এদিকে ধৃত চারজনকেই জেরা করছে পুলিশ। এদিকে ২০০১ সালে এই দিনেই জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছিল সংসদে। আর সেই দিনই সংসদের ভেতর একী কাণ্ড ঘটালেন ওরা। তবে কি নতুন সংসদ ভবনে নিরাপত্তা একেবারে তলানিতে গিয়েছে? কীভাবে নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে তারা এই কাণ্ড ঘটালেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।