গত কয়েকমাস ধরেই ভারত-পাকিস্তান ব্যাকচ্যানেলিংয়ের মাধ্যমে আলোচনা চালিয়ে সীমান্তে শান্তি স্থাপনের পথে হেঁটেছিল বলে জানা গিয়েছে বিভিন্ন সূত্র মারফত। তবে সম্প্রতি সেই সম্প্রতি আফগানিস্তানে পাকিস্তানের নাক গলানো ভালো ভাবে দেখছে না নয়াদিল্লি। আর তাই এই ব্যাকচ্যানেল আলোচনা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের পর থেকে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সেই অর্থে কোনও শান্তি আলোচনা হয়নি। তবে সম্প্রতি ২০০৩ সালের সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি ফের কার্যকর করা হয়েছে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর। তবে সূত্রের খবর, এরপর এই ব্যাকচ্যানেল আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজে পাচ্ছে না কোনও পক্ষই। সূত্রের খবর, আলোচনা চলাকালীন পাকিস্তান দাবি জানায় যাতে জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হয় এবং সেখানে বর্তমানে যে ডেমোগ্রাফি রয়েছে, তা বদল না করা হয়।উল্লেখ্য, পাক সেনার তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল যাতে ভারতের সাথে স্বল্প পরিসরে ফের বাণিজ্য শুরু করা হয়। এরপরই সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি ফের কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্তের বিরধিতা করেছিলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি এবং দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রাশিদ আহমেদ। তাঁদের মূল আপত্তির কারণ ছিল, ভারত কোনও আপস না করেই তাদের ইচ্ছে মতো সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি কার্যকর করতে পারল।এই আবহে আবার কয়েকদিন আগেই আফগানিস্তানে ভারতের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে নয়া বিতর্ক জন্ম দেন কুরেশি। তিনি আফগানিস্তানের অশান্ত পরিবেশের জন্যে তালিবানদের ক্লিনচিট দিয়ে অভিযোগের আঙুল তোলেন ভারতের দিকে। যার পাল্টা জবাব দেয় নয়াদিল্লিও। তবে এত কিছুর মাঝে ফের বন্ধ হল আলোচনা। সূত্রের খবর, ভারত-পাক বাণিজ্য শুরুর বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন পাক সেনা প্রধান জেনারেল কামার বাজওয়া। তবে বাজওয়ার উত্তরসূরী ভারতের সঙ্গে ব্যাকচ্যানেল আলোচনা চালিয়ে যাবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে ভারতের আধিকারিকদের মনে।এর আগে গতবছর আইএসআই প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফৈজ হামিদ নাকি ভারতীয় আধিকারিকদের সঙ্গে দুটি বৈঠক করেছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। তবে দোহাতে তালিবানদের সঙ্গে ভারতের আলোচনার বিষয়টি ভালো চোখে দেখছে না পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে তারা আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে ইচ্ছুক নয়।