বারানসীর পিন্দরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সেখানকার এক কর্মী কোভিশিল্ডের নাম করে Dexona Injection দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। বারানসীর কাশীপুর গ্রামের বাসিন্দাদের তিনি এই ধরনের ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানাজানি হতেই ররিবার পুলিশ ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম মোহন লাল। কোভিশিল্ডের নাম করে তিনি যে ইঞ্জেকশন দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ তার জন্য় তিনি মাথাপিছু ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত আদায় করেছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, মোহন লাল ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্য়কেন্দ্রের কর্মী। কাশীপুর গ্রামের বাসিন্দাদের তিনি কোভিশিল্ডের নাম করে ডেক্সোনা ইঞ্জেকশন দিয়ে দেন বলে অভিযোগ। এজন্য তিনি মাথাপিছু ২০ টাকা করে নিয়েছেন। এদিকে স্থানীয় এর যুবক তাকে ভ্যাকসিনেশনের সার্টিফিকেট দিতে বলেন। এরপরই বেঁকে বসেন মোহন লাল। ওই যুবককে তিনি নানাভাবে ভয় দেখিয়েছেন বলেও অভিযোগ। এরপরই ওই যুবক আঁচ করতে পারেন কিছু একটা অন্যায় করা হচ্ছে। তিনি গোটা বিষয়টি পুলিশকে জানান। এরপর পুলিশ গিয়ে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে দুটি ইঞ্জেকশন বাজেয়াপ্ত করে। এরপর হাসপাতালের অফিসার ইন চার্জকে এইচ সি মৌর্যকেও বিষয়টি জানানো হয়।
ডাঃ মৌর্য জানিয়েছেন, ‘ডেক্সোনা ইঞ্জেকশন দেওয়া হচ্ছিল। নানা কারণে এই ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। মোহন লালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। লালের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’ পুলিশ জানিয়েছে, ‘জেরায় ভেঙে পড়়ে মোহন লাল জানিয়েছেন টাকা উপায় করার জন্যই সে এই কাজ করছিল।’ এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, ‘বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই ডেক্সোনা দেওয়া উচিৎ। রোগ ছাড়া এই ইঞ্জেকশন প্রয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ।’ সূত্রের খবর, এই ইঞ্জেকশন বাত, শ্বাসকষ্ট, অ্য়ালার্জি সারাতে ব্যবহার করা হয়।