চলতি সপ্তাহে লোকসভা ভোটের বিউগল বাজিয়ে দেশের ২৬ টি বিরোধীদল বেঙ্গালুরুতে এক মহাসমারোহে বৈঠকে বসে। এর আগে, বিহারে বিরোধীদের প্রথম বৈঠক আহ্বান করেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার। এরপর বেঙ্গালুরুতে চলতি সপ্তাহের শুরুতে বিরোধী বৈঠক আহ্বান করে কংগ্রেস। তবে সেই বৈঠকে ডাক যায়নি এআইএমআইএম-এর কাছে। আর তা নিয়েই দলের তরফে মুখ খোলেন ওয়ারিস পাঠান।
ওয়ারিস পাঠান এদিন মুখ খোলেন বেঙ্গালুরুতে ২৬ টি পার্টির বৈঠক নিয়ে। 'অল ইন্ডিয়া মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমিন' বা এআইএমআইএম পার্টির তরফে ওয়ারিস পাঠান বলেন, ‘তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলি’ তাঁদের ‘রাজনৈতিক অস্পৃশ্য মনে করে’। এছাড়াও এআইএমআইএমের মুখপাত্র ওয়ারিস পাঠান প্রশ্ন তোলেন যে, আসাদউদ্দিন ওয়েইসির এআইএমআইএম-এর মতো পার্টিকে কীভাবে তারা এড়িয়ে যেতে পারে? এই নিয়ে ওয়ারিস পাঠান বলছেন, ‘তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলি আমাদের ডাকেনি। আমরা তাদের কাছে রাজনৈতিকভাবে অস্পৃশ্য। সেখানে কিছু নেতা ছিলেন যাঁরা এককালে বিজেপির সঙ্গে ছিলেন তাঁদের মধ্যে নীতীশ কুমার, উদ্ধব ঠাকরে, মেহবুবা মুফতি রয়েছেন। আমরা দেখেছি অরবিন্দ কেজরিওয়াল গুজরাট বিধানসভা ভোটের সময় কীভাবে কংগ্রেসের বিরোধীতা করেছেন, আর তিনিও ছিলেন ওই বেঙ্গালুরুর বৈঠকে। আমরাও ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটে বিজেপিকে হারানোর চেষ্টা করছি। আর সেখানে তারা (বিরোধীরা) আসাদউদ্দিন ওয়েইসিকে এড়িয়ে যাচ্ছেন, আমাদের এড়িয়ে যাচ্ছেন।’
( 'INDIA' নাম নিয়ে কি ছিল নীতীশের দোনামনা?প্রেস কন্ফারেন্সে অনুপস্থিতি বিহারের ২ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর! চর্চা তুঙ্গে)
উল্লেখ্য, সোমবার ও মঙ্গলবার কংগ্রেসশাসিত কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে আয়োজিত হয়েছিল বিরোধী জোটের মহাসভা। সেখানে বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস থেকে শুরু করে, আম আদমি পার্টি, জেডিইউ, আরজেডি, শিবসেনার উদ্ধাব পক্ষ, তামিলনাড়ুর ডিএমকে সমেত বহু পার্টি একত্রিত হয়। ২৬ টি বিরোধী দল বেঙ্গালুরুতে এই সভায় যোগ দেয়। সেখানে স্থির হয়েছে একটি কো অর্ডিনেশন কমিটি গড়ে হবে এই জোট। দিল্লিতে একটি সচিবালয় থেকে হবে এর প্রচারের নিয়ন্ত্রণ। ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স’ বা ‘INDIA’ নাম নিয়ে এই জোট এগোবে বলে মনে করা হচ্ছে। যাতে ২০২৪ লোকসভা ভোটে মোদী শিবিরকে পরাস্ত করা যায়, তার সংকল্প নিয়ে বিভিন্ন ইস্যুকে সামনে রেখে একটি জোটবদ্ধ পথে ভোট লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতির পথে চলার ডাক দিয়েছে এই জোট।