চলতি বর্ষায় কোঝিকোড় বিমানবন্দরে চওড়া বিমান অবতরণের উপর নিষাধাজ্ঞা আরোপ করল উড়ান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ। সম্প্রতি এই বিমানবন্দরের রানওয়েতে অবতরণের সময় এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস বিমান দুর্ঘটনার কারণে এই সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছে।বর্যায় বিমান দুর্ঘটনা এড়াতে সমস্ত বিমান তাই আশপাশের অন্যান্য বিমানবন্দরে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিজিসিএ-র ডিরেক্টর জেনারেল অরুণ কুমার। পাশাপাশি, অতিবর্ষণ প্রবণ অঞ্চলে সব বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার নির্দেশও জানি করা হয়েছে বলে তিনি জানান। উল্লেখ্য, বি৭৪৭ এবং এ৩৫০ চওড়া শরীরের বিমানে তুলনায় ছোট চেহারার বি৭৩৭ ও এ৩২০ বিমানের চেয়ে বড় জ্বালানির ট্যাঙ্ক থাকেস যার দরুণ দূরপাল্লার উড়ানে সুবিধা হয়।গত শুক্রবার রাতে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে কোঝিকোড় বিমানবন্দরে নামার সময় রানওয়ে অতিক্রম করে ৫০ মিটার গভীর উপত্যকায় পড়ে যায় ১৯০ আরোহী-সহ এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের দুবাই থেকে এসে পৌঁছানো বোয়িং ৭৩৭ বিমান। এর আগে ২০১০ সালে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের আরও একটি বোয়িং ৭৩৭ জেট রানয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে একই রকম দুর্ঘটনায় পড়ে। স্থান সঙ্কুলানের অভাবে ভারতের তথাকথিত টেবিলটপ বিমানবন্দরে নামা বন্ধ করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক উড়ান সংস্থাগুলি। নিরাপত্তার কারণেই কোঝিকোড় বিমানবন্দর সেই তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তা সত্ত্বেও এতদিন সেখানে ভারতীয় উড়ান সংস্থার বড় বিমান নামত। এবার নিষেধাজ্ঞার জেরে সেই অধ্যায়ে যতিচিহ্ন পড়ে গেল। যদিও কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ পুরির যুক্তি, ‘কোঝিকোড় বিমানবন্দরের রানওয়ে ছোট হওয়ায় নিরাপত্তার জন্য আন্তর্জাতিক অসামরিক উড়ডান পরিবহণ সংস্থার শর্তাবলী মেনে সেখানে রানওয়ে এন্ড সেফটি এরিয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে কিছু বিমানবন্দরে এই ব্যবস্থা রাখা অসম্ভ এবং আন্তর্জাতিক উড়ান সংগঠন (ICAO) নির্দেশিত শর্তাবলীতে তা আবশ্যিক করা হয়নি।’অন্য দিকে, কোঝিকোড় বিমানবন্দরের দুর্ঘটনাগ্রস্ত বোয়িং জেটের ব্ল্যাকবক্সটি শনিবার উদ্ধার করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে বিমান দুর্ঘটনার বিষয়ে সবিস্তারে অনুসন্ধান করবে কেন্দ্রীয় অসামরিক উড়ান মন্ত্রকের তদন্ত বিভাগ এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি)।