গোটা দেশ জুড়ে ধস নেমেছে বিজেপির ভোটে। একের পর এক আসনে পরাজিত হয়েছে বিজেপি। তবে তার মধ্য়েই বিজেপি দলের ক্যাপ্টেন নরেন্দ্র মোদী জয়ী হয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের বারাণসী আসন থেকে জয়ী হয়েছেন তিনি।
তবে প্রথম দিকে দেখা যাচ্ছিল কিছুটা হলেও পিছিয়ে রয়েছেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত জয়ী হন তিনি।
এদিকে এবার ভোট পর্বের একেবারে প্রথম থেকেই মোদীর নামেই কার্যত ভোটে নামে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের তরফে বার বার বলা হয় ফের মোদী সরকার। এবার মোদী সরকার গড়তে পারবেন কি না সেটা বলবে সময়। তবে এবারের ভোটে মোদী যে বিরাট ধাক্কা খেয়েছেন সেটা বলাই বাহুল্য।
এবার গোটা ভো়ট পর্ব জুড়ে মোদী বার বার বলেছেন মোদীর গ্যারান্টির কথা। কার্যত বিজেপি দলকে ছাপিয়ে গিয়েছিল মোদী শব্দটি। তবে শেষ পর্যন্ত মোদী ম্যাজিক দেশ জুড়ে কতটা কাজ করল সেটা নিয়ে সন্দেহ থেকেই গিয়েছে। কারণ দেখা যাচ্ছে একাধিক হেভিওয়েট বিজেপি প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। বাংলায় বিজেপির একেবারে ভরাডুবি হয়েছে। তবে দিনের শেষে বিজেপির স্বস্তি একটাই যে জয় পেলেন মোদী।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, একজনের নামে ভোট চেয়েছিল এবার বিজেপি। যে ব্যক্তি নিজের নামে ভোট চেয়েছিলেন। তিনি নৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছেন।
কংগ্রেসের অজয় রাইয়ের বিরুদ্ধে ভোটে লড়েছিলেন মোদী। সেখানে কার্যত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, প্রধানমন্ত্রী সব মিলিয়ে পেয়েছেন ৬,১২,৯৭০ ভোট। অর্থাৎ তিনি পেয়েছেন ৫৪.২৪ শতাংশ ভোট।
মোদী এবার হ্যাটট্রিক করেছেন এটা ঠিক। কিন্তু লড়াইটা যে সহজ ছিল না এটা বোঝাই যাচ্ছে। তার ভোট শতাংশ কমে গিয়েছে প্রায় ৯ শতাংশ।
আগের নির্বাচনের ফলাফলগুলি একবার দেখে নেওয়া যাক। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী পেয়েছিলেন ৬,৭৪,৬৬৪টি ভোট। অর্থাৎ তাঁর ভোট শতাংশ ছিল ৬৩.৬২ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১৪ সালে তিনি পেয়েছিলেন ৫,৮১,০২২টি ভোট। তাঁর ভোট শতাংশ ছিল ৫৬.৩৭ শতাংশ।
অর্থাৎ এবার মোদীর ভোট কমেছে প্রায় ৯ শতাংশ। এই সংখ্যাটি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে সবথেকে লক্ষ্যণীয় বিষয় হল ২০১৯ সালে অজয় রাই মাত্র ১৪ শতাংশ ভোট পেতে সক্ষম হয়েছিলেন। আর এবার তিনি ৪০.৭৪ শতাংশ ভোট পেতে সক্ষম হয়েছেন। এর একটা বড় কারণ হল যে এবার এই কেন্দ্রে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের একটা আসন সমঝোতা হয়েছিল।