ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার হল একটি দেশীয় ইম্প্রোভাইজড গোলাবারুদ। ২০২১ সালে এই ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করেছিল মাওবাদীরা। মঙ্গলবার টেকালগুদিয়ামে হামলার সময় তারা এই ধরনের ১২ টি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছিল। এই রকেটগুলি বিস্ফোরণে ফলে বেরোনো স্প্লিন্টারে প্রায় ৬ জন জওয়ান হালকা থেকে গুরুতর জখম হয়েছেন।
ছত্তিশগড়ে মাওবাদী হামলায় নিহত তিন জওয়ান। প্রতীকী ছবি
ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের সঙ্গে তুমুল গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন ৩ সিআরপিএফ জওয়ান। এ ছাড়াও আহত হয়েছেন ১৫ জন। গতকাল মঙ্গলবার ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশ সীমান্তের কাছে টেকালগুদিয়াম গ্রামে অপারেশন চালানোর সময় দুই পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, মাওবাদীরা ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার (বিজিএল) দিয়ে এই হামলা চালিয়েছিল। অত্যাধুনিক এই আগ্নেয়াস্ত্র নিজেরাই তৈরি করেছে মাওবাদীরা। এই আগ্নেয়াস্ত্র দেখতে অনেকটা রকেটের মতো।
জানা গিয়েছে, ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার হল একটি দেশীয় ইম্প্রোভাইজড গোলাবারুদ। ২০২১ সালে এই ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করেছিল মাওবাদীরা। মঙ্গলবার টেকালগুদিয়ামে হামলার সময় তারা এই ধরনের ১২ টি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছিল।এই রকেটগুলি বিস্ফোরণে ফলে বেরোনো স্প্লিন্টারে প্রায় ৬ জন জওয়ান হালকা থেকে গুরুতর জখম হয়েছেন। বাকিরা বুলেটে জখম হয়েছেন বলে আরেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। ভিতরে বিস্ফোরক দিয়ে ভরা থাকে এই আগ্নেয়াস্ত্রে এবং এগুলি উড়তে সক্ষম।
এই এলাকাটি মাওবাদীদের পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মির (পিএলজিএ) এক নম্বর ব্যাটালিয়নের অধীনে রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে ছত্তিশগড়ের নিরাপত্তা বাহিনীর উপর সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়ে আসছে এই মাওবাদীরা। এই এলাকায় মাওবাদীরা যে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে তার প্রমাণ মিলেছিল ২০২১ সালে। ওই বছরের এপ্রিল মাসে মাওবাদীদের হামলায় ২৩ জন নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছিলেন। সেই কারণে সিআরপিএফ এই এলাকায় ঘাঁটি তৈরি করছে।