দু'জনের গলায় গাঁদার মালা। মাথায় টোপর। পাত্র হলুদ টি-শার্টে। 'পাত্রী' লাল চেলিতে। মাথায় মুকুটও আছে। তবে একটাই সমস্যা। পাত্রীর লেজও আছে।
না হেঁয়ালি করছি না। কুকুরের সঙ্গে যুবকের বিয়ে। এমনই একটি ছবি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ছবিটি পোস্ট করেছেন বিজয় দে নামে এক ওয়েডিং ফটোগ্রাফার। পাত্রে নাম দীপায়ন দাস।
এর নেপথ্যে কাহিনী কী?
বিষয়টা দেখে নেটিজেনদের অনেকেই অবাক হচ্ছেন। না জেনেই হাসি-ঠাট্টা করছেন অনেকে। কিন্তু আদতে বিষয়টা অতটাও বিরল নয়।
আসলে 'মাঙ্গলিক দোষ' কাটাতে অনেক সময়ে এমনটা করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, সাধারণত লগ্নে দ্বিতীয়, চতূর্থ, সপ্তম, অষ্টম ও দ্বাদশ ঘরে মঙ্গলের অবস্থানে মাঙ্গলিক হয়।
মাঙ্গলিক দোষের ফলে স্বামী বা স্ত্রীর ফাঁড়া, উন্নতিতে বাধা, সাংসারিক অশান্তির কথা বলেন জ্যোতিষীরা।
এক্ষেত্রে সাধারণত 'কুম্ভবিবাহ' নামের একটি রীতি পালন করা হয়। তার মাধ্যমে বিয়ের আগে দোষ কাটানো হয়। কী সেই রীতি?
এই রীতিতে মাঙ্গলিক জাতক বা জাতিকাকে কলাগাছ, পিপুল গাছ বা, বিষ্ণুর স্বর্ণ বা রৌপ্য মূর্তির সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়।
সম্ভবত সেই বিশ্বাস থেকেই ওই যুবকের সঙ্গে কুকুরের বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর সাধারণ বিয়েই করতে পারবেন ওই যুবক।

এর আগে ঝাড়খণ এক গ্রামে এক যুবতীর সঙ্গে কুকুরের বিয়ের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। সেক্ষেত্রেও মাঙ্গলিক দোষ কাটানোর জন্য এমন আয়োজন করা হয়েছিল।
এবার বুঝলেন তো ভাইরাল ছবির নেপথ্যে কাহিনী কী? সম্ভবত ফটোগ্রাফারের ক্যাপশনের কারণে অনেকে বিষয়টি বুঝতে পারছেন না। আসলে এমন হাজারো রীতি-নীতি, বিশ্বাস জড়িয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
কুকুর যদি মানুষের সেরা বন্ধু হয় এবং একটি ভয়ও কাটাতে সাহায্য করে, তবে ক্ষতি কী?