গুজরাটের ভারুচে এক ভয়াবহ ঘটনা ঘিরে নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। সেখানে এক ৭০ বছরের বৃদ্ধার ফের ধর্ষণের ঘটনায় নানান প্রশ্ন সামনে আসছে। জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগে, প্রায় ১৮ মাস আগে জেলে যাওয়া অভিযুক্ত সদ্য জামিনে মুক্তি পেয়েছিল। আর জামিন পেয়ে জেল থেকে বেরিয়েই ওই একই মহিলাকে ৩৫ বছর বয়সী যুবক ফের ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ।
ঘটনায় অভিযুক্ত শৈলেশ রাঠৌর। পুলিশ বলছে, বৃদ্ধার ঝুপড়ি ঘরে গত ১৫ ও ২২ ডিসেম্বর ওই একই অপরাধ ঘটিয়েছে বছর ৩৫র যুবক শৈলেশ। ঘটনার পর শৈলেশ ওই মহিলাকে হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ। ওই মহিলা যদি এই ঘটনার কথা কাউকে বলে দেন, তাহলে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে, এমন হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয় ৭০ বছরের মহিলাকে। তবে তাতে ভয় পাননি মহিলা। তিনি গুজরাটের আমোদ পুলিশ স্টেশনের দ্বারস্থ হন। সেখানে গিয়ে শৈলেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই স্পেশ্যাল অপরেশন গ্রুপ, ক্রাইম ব্রাঞ্চ, পুলিশ একযোগে নেমে পড়ে শৈলেশকে ধরতে। আপাতত অভিযুক্ত পলাতক। উল্লেখ্য, প্রায় ১৮ মাস আগে জেলবন্দি হয় শৈলেশ। সেবারও তার বিরুদ্ধে ওই ৭০ বছর বয়সী মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল। এরপর সদ্য জামিনে মুক্তি পেয়ে নতুন করে এই নারকীয় যৌন অত্যাচার সেই একই মহিলার ওপর চালায় শৈলেশ।
উল্লেখ্য, মহিলা নিরাপত্তা ঘিরে গুজরাটের ভারুচে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সদ্য সেখানে ১১ বছরের এক নাবালিকা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সেই নিয়েও বেশ কিছু প্রশ্ন ওঠে। তারপর নতুন করে ৭০ বছরের বৃদ্ধার পর পর ধর্ষণের ঘটনা ফের একবার এই বিজেপি শাসিত রাজ্যে মহিলা নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। ১১ বছরের ওই শিশুর ওপরযৌন অত্যাচারের ঘটনায় জানা গিয়েছে সেই ছোট্ট নির্যাতিতার বহু অঙ্গ গভীরভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে শরীর জুড়ে সেই কঠিন আঘাত সহ্য করার পর সে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে। সেই ঘটনার পর এই ৭০ বছরের মহিলার ধর্ষণের ঘটনায় বহু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে মহিলা নিরাপত্তা নিয়ে।