মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ হিংসা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। রাজ্য সরকার তোষণের রাজনীতি করছে বলে দাবি করেন গজেন্দ্র। এরই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁর বাংলা ভাগের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। এরই সঙ্গে গজেন্দ্র ভোটের দামামাও বাজিয়ে দেন। পরবর্তী বিধানসভা ভোটে বাংলায় বিজেপির সরকার গঠিত হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। (আরও পড়ুন: 'ধর্মনিরপেক্ষতার ট্যাবলেট খাইয়ে...', ওয়াকফ হিংসা নিয়ে অভিষেককা পালটা সুকান্তর)
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে WAQF হিংসার বলি হরগোবিন্দ-চন্দন CPIM সমর্থক ছিলেন, দাবি বামফ্রন্টের
মমতাকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আজ বার্তাসংস্থা এএনআইকে গজেন্দ্র বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে ভোট তোষণের জন্য যে পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে তা দুর্ভাগ্যজনক এবং নিন্দনীয়... সাম্প্রতিক সময়ে, বিশেষ করে রামনবমী উপলক্ষে এবং তারপর থেকে ধারাবাহিকভাবে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠদের উপর নির্যাতন করা হয়েছে এবং অত্যাচার চালানো হচ্ছে। মন্দিরে ভাঙচুর করা হচ্ছে এবং মহিলাদের শ্লীলতাহানি করা হচ্ছে, এবং এখনও রাজ্য সরকার কেবল ভোটের জন্য নীরব। এই সব আমাদের বাংলা ভাগের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু আমার বিশ্বাস, আসন্ন নির্বাচন বাংলাকে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করবে এবং পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার গঠিত হবে।' (আরও পড়ুন: ফারাক্কা ও দক্ষিণ মালদায় নতুন করে ঝামেলার অভিযোগ, BSF-এর সঙ্গে কথা বললেন BJP MLA)
আরও পড়ুন: WAQF হিংসায় তপ্ত মুর্শিদাবাদ,চায়ে চুমুক দিয়ে 'মুহূর্তে ডুব' TMC MP ইউসুফ পাঠানের
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভের জেরে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল ১১ এপ্রিল থেকে। এই হিংসার জেরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কিশোর আছে। সে গত ১১ এপ্রিল গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। এদিকে ১২ এপ্রিল সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ স্থানীয়দের। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। এলাকায় এখন বিএসএফ টহল দিচ্ছে। জানা গিয়েছে, সামশেরগঞ্জের রানিপুরের জাফরাবাদে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ, বাবা ও ছেলেকে প্রথমে পেটানো হয়েছে, তারপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। এরপর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাড়ি ও টোটো। অভিযোগ, পুলিশকে বারবার ফোন করা হলেও পুলিশ আসেনি।
এদিকে ১২ এপ্রিল ধুলিয়ান পুরসভাতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এদিকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয় এবং পরে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ধুলিয়ানে একটি শপিংমলে লুটপাট চালানো হয়। এদিকে ফারাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলামের দাদা আলির বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী বিধায়ককেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। হেনস্থা করা হয় বিধায়ককে। জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুরের অফিসেও হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এদিকে মুর্শিদাবাদে হিংসার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি এলাকায় টহল দিচ্ছে বিএসএফ।