জার্মানির মিউনিখে জরুরি অবস্থা নিয়ে কংগ্রেসকে তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গতকাল বলেছিলেন, ‘ভারতীয় গণতন্ত্রের প্রাণবন্ত ইতিহাসের কালো ছোপ ছিল সেটি।’ মোদীর এই বক্তব্যের এবার প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এই নিয়ে একটি টুইট করেন মহুয়া। তাঁর প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী যখন ভারতের অতীত নিয়ে বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে বিরোধীদের আক্রমণ শানাতে পারে, তাহলে বিরোধী কোনও নেতা কেন বিদেশি মিডিয়ার কাছে ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরতে পারবে না?এদিন এক টইট করে মহুয়া লেখেন, ‘তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জার্মানিতে জরুরি অবস্থাকে ভারতীয় গণতন্ত্রের উপর কালো ছোপ বলে আখ্যা দেন। আমার তাতে কোনও সমস্যা নেই। তবে বিরোধীরা যখন ভরতের বর্তমান অঘোষিত জরুরি অবস্থার পরিস্থিতি তুলে ধরেন বিদেশি মিডিয়ার সামনে (বিদেশের মাটিত এই কাজ করার কথা ভুলে যান), আমাদের দেশদ্রোহী বলে আখ্যা দেওয়া হয়।’ উল্লেখ্য, গত মে মাসে রাহুল গান্ধী লন্ডনে গিয়ে একটি কনক্লেভে যোগ দিয়েছিলেন। রাহুল সেখানে বলেছিলেন, ‘ভারত কোনও দেশ নয়, বরং এটি রাজ্যের সমষ্টি।’ সংসদে দাঁড়িয়েও এই কথা বলেছিলেন রাহুল। এই নিয়ে শআসকদল বিজেপি ক্রমাগত তোপ দাগে রাহুলকে। আর গতকাল জার্মানির মিউনিখে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদী মনে করান জরুরি অবস্থার সময়কালকে।জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে রবিবার সকালে মিউনিখে পৌঁছান মোদী। সেখানে তাঁকে সাদরে অভ্যর্থনা জানান প্রবাসী ভারতীয়রা। পরে মিউনিখে প্রবাসী ভারতীয়দের একটি অনুষ্ঠানে নিজের সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন মোদী। সেই রেশ ধরেই ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার সমালোচনা করেন। মোদী বলেন, ‘আজ ২৬ জুন। ৪৭ বছর আগে এইদিন ভারতের গণতন্ত্রকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। যা প্রত্যেক ভারতীয়ের ডিএনএতে আছে। ভারতীয় গণতন্ত্রের প্রাণবন্ত ইতিহাসের কালো ছোপ ছিল সেটা।’