মহারাষ্ট্রের সাম্ভাজিনগরে রামনবমী ঘিরে হিংসার ঘটনা ঘটেছে। এই হিংসার ঘটনার পর বিরোধী মহা বিকাশ অঘাড়ি জোটের শরিক দলগুলি অভিযোগ করেছে, বিজেপি রাজ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে চাইছে। প্রসঙ্গত, রামনবমীর আগের দিন থেকেই অশান্ত ছিল সাম্ভাজিনগর। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষ বেঁধে যায় বলে জানা যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। তবে পুলিশের ওপর এক গোষ্ঠী চড়াও হয় বলে জানা যায়। পুলিশের ভ্যান-সহ একাধিক গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বুধবারের মধ্যরাতে এই হিংসার ঘটনা ঘটে। যদিও হিংসার সূত্রপাত সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট ভাবে কিছু জানানো হয়নি পুলিশের তরফে। (আরও পড়ুন: '৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট হবে', সরকারকে নাস্তানাবুদ করতে বড় ছক ডিএ আন্দোলনকারীদের)
এদিকে এক পক্ষের অভিযোগ, উসকানিমূলক স্লোগান তোলা হয়েছিল। অপরদিকে পুলিশ জানাচ্ছে, বাইক মিছিলের সময় 'সামান্য ঝামেলা' হয়। এরপরই এই ঝামেলা মারাত্মক আকার ধারণ করে। এর জেরে হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন দু'জন। জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম মুনির শেখ এবং সমীর খান আসগর। মুনিরের বয়স ৪৮ বছর। অপরদিকে সমীরের বয়স ১৮ বছরের কম ছিল বলে জানা গিয়েছে। হিংসার সময় গুরুতর ভাবে জখম হয়েছিলেন এই দু'জন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছিল তাদের।
আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে সচিবালয় সহায়করা, মুখ্যমন্ত্রী লেখা হল খোলা চিঠি
এদিকে গতকাল পশ্চিমবঙ্গের হাওড়াতেও রাম নবমীর মিছিল ঘিরে হিংসা ছড়ায়। রামনবমীর মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনা ঘিরে হিংসার ঘটনায় আজ সকাল পর্যন্ত মোট ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই মিছিলের উদ্যোক্তা ছিল অঞ্জনী পুত্র সেনা নামে একটি সংগঠন। অভিযোগ, এই এলাকা দিয়ে যখন রামনবমীর শোভাযাত্রা যাচ্ছিল, সেই সময় মিছিলকে লক্ষ্য করে প্রথমে কাচের বোতল, ইট ও পাথর ছোড়া হয়। পরবর্তীতে পেট্রোপ বোমাও ছোড়া হয়। এদিকে পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় সেখানে। আজ সকালেও এলাকার পরিস্থিতি থমথমে।