তরুণীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছিল এক যুবকের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে যুবককে চরম শাস্তি দিল তরুণীর পরিবার। যুবককে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে এবং ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করল তরুণীর বাবা-মা এবং তার অন্যান্য আত্মীয়রা। এমনই নৃশংস ঘটনা ঘটল মহারাষ্ট্রের নান্দেদ জেলার হাদগাঁও শহরে। শুধু যুবককেই নয়, মারধর করা হল তাঁর মাকেও। এই অভিযোগে পুলিশ হামলার ঘটনায় জড়িত ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বোনকে জ্বালাতন করিস কেন? মস্তান গ্যাংয়ের সদস্যকে পাথর দিয়ে 'খুন' করল দাদা
জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম শেখ আরাফত (২১)। এদিকে, ওই তরুণীও একই এলাকার বাসিন্দা। তরুণীর বাবা মায়ের অভিযোগ, আরাফত প্রায়ই তাদের মেয়েকে উত্যক্ত করতেন। তার পিছু নিতেন এবং তাঁকে বিরক্ত করতেন। এর আগে তারা ওই যুবককে সতর্ক করেছে। তারপরও যুবক তাদের মেয়েকে উত্যক্ত করা বন্ধ করেননি। ফের তাদের মেয়ের পিছু নেওয়ায় শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযুক্তরা আরাফতকে তাঁর বাড়ির কাছে ধরে ফেলে। এরপর অভিযুক্তরা লাঠি দিয়ে আরাফতের ওপর হামলা চালানোর পাশাপাশি লাথি, কিল, ঘুষি মারে এবং ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। ঘটনায় ছেলের চিৎকার, চেঁচামেচি শুনে আরাফতকে বাঁচাতে ছুটে আসেন তাঁর মা। কিন্তু, অভিযুক্তরাও তাঁকেও বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।
এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। তারা যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার পরে পুলিশ তরুণীর বাবা মা এবং আত্মীয় সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এক আধিকারিক। এদিকে, ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ক্ষোভে ফুঁসছেন যুবকের আত্মীয়রা। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ এলাকার মানুষজনকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে।পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার প্রাসঙ্গিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার আরও তদন্ত চলছে। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।